স্বপ্নার আহাজারি : ‘আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই’
ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার কারনে একটি মেয়ের জীবন নষ্ট হতে বসেছে। বর্তমানে মেয়েটি এখন বিছেন সয্য হয়ে গেছে। সে তার পায়ে হাটার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে পা দুইটিতে কোন শক্তি নাই। বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে স্বপ্না আফরিন নামের মেয়েটি।
স্বপ্নার বাবার নাম রবিউল ইসলাম, আর মা তানজিলা খাতুন। তার বাবা মেয়ের একমাত্র সন্তান স্বপ্নার ৮ বছর পর্যন্ত বাবার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুর গ্রামে থাকার সৌভগ্য হয় মা মেয়ের। বাবা থেকেও নেই। স্বপ্নার ৮ বছর বয়সে তার মা তানজিলাকে তালাক দেয় তার বাবা। তারপর স্বপ্নার নানী সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামে মাথা ঘুজার মতন দুই কাটা জমি কিনে সেখানে বর্তমান মা, মেয়ে ও এক মামা ও মামি বসবাস করছে। নলকুড়ায় আসার পর স্বপ্নার নানী মারা যায়। নানা আরও আগে মারা গেছে। এখানে স্বপ্নার আপন বলতে আছে (তার মায়ের ছোট) এক মামা, সে পরের দোকানে কাজ করে কোন রকমে সংসার চলে তাঁর। স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত হয়ে ৮ বছরের মেয়ে স্বপ্নাকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকম চলছিল তাদের সংসার।
মা তানজিলা মেয়ে স্বপ্নাকে লেখাপড়া শেখাতে থাকে এর মধ্যে ৮ম শ্রেনিতে পড়াকালিন তার গলার ভিতরে একটা সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসার জন্য মেয়েকে ২০১৫ সালে ডা. এনকে সিনহার কাছে যান। তিনি তাকে ঢাকার আদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে পরিক্ষা করার পর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাক্তার তাকে ১০টি কেমো নেওয়ার পরামর্শ দেয়। ৫ নং কেমো নেওয়ার সময় সপ্না মারত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পর কেমো বন্ধ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ডাক্তাররা তার বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে তার শরীরে কোন ক্যান্সার নাই এবং তার শরীলে ক্যান্সারের কোন নমুনাও পাওয়া যায়নি। তার বনটিবি হয়েছে বলে জানান।
ডাক্তার বলেন, ভুল চিকিৎসার কারনে তার শরীরে হীপজয়েন্ট ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। কলকাতা মেডিকেলে দুই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর টাকার অভাব পড়লে চিকিৎসা শেষ না করে দেশে ফিরে আসে। তাঁঁর চিকিৎসার বিষয়ে স্বপ্না আফরিন জানান, বাংলাদেশে ৫ টা কেমো দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়াতে গিয়ে পরীক্ষা করার পর ওখানকার ডাক্তাররা বলেছেন, দেহের ভেতর কোথাও ক্যান্সার এর জীবাণু নেই। আর এই কেমো দেওয়ার জন্য আমার শরীরের সব হাড় নরম হয়ে গেছে। এমনকি বাম পায়ে ২ জায়গায় হাড় কুচি হয়ে গেছে। ওটার জন্য ডাক্তাররা অপারেশন এর কথা বলেছেন। চেন্নাইতে বা ঢাকাতে অপারেশন করতে হবে।
ডাক্তার বলেছেন, ১লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগবে।
মেয়েটির মা তানজিলা খাতুন বলেন, মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সবকিছু শেষ করে ফেলেছি। নতুন করে চিকিৎসা করানোর মত কোন টাকা নেই। পারলে আমার মেয়েটিকে আপনারা বাঁচান। কলকাতার ডাক্তাররা জানান এই রোগ নিরাময় যোগ্য। তবে তার চিকিৎসার করলে ভাল হয়ে যাবে। স্বপ্নার বয়স এখন (২০), তার বিয়ে হয়েছিল, বিয়ের অল্প কিছুদিন পর তার এই রোগ দেখা দেয়, তারপর এই অসুখের কারনে স্বামীর বাড়ীতে থাকতে পারিনি, স্বামী তার খোঁজ খবর নেয় না, এমন কি তার চিকিৎসা ও খাওয়ার জন্য কোন টাকা পয়সা পর্যন্ত দেয় না। স্বপ্না কাঁদতে কাঁদতে বলে আমি বাঁচতে চাই। আপনারা আমাকে বাঁঁচান। আমি এই সুুন্দর পৃথীবি ছেঁড়ে যেতে চায় না। তার চিকিৎসার জন্য দেশের প্রধাণমন্ত্রী, সমাজের বিত্তশালি ও হিৃদয়বান ব্যক্তি এবং দানশীল প্রতিষ্ঠানের কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যর আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার।
সাহায্য পাঠনোর ঠিকানা মোছা: তানজিলা খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২২০৬৮, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: সাতক্ষীরা শাখা অথবা বিকাশ নং-০১৭৭৪২৬৯৭৭৯ (নিজস্ব)।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন