শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

সাতক্ষীরার স্কুল ছাত্রী চাঁদনী আত্মহত্যার নেপথ্যে প্রেমিকের বিয়ের চাপ!

সাতক্ষীরা শহরের গফুর সাহেবের বাগানবাড়ি এলাকায় দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী আসফিয়া খাতুন চাঁদনীর আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রেমিক শহরের গড়েরকান্দার আবু হুরাইরা বিয়ের জন্য বার বার চাপ সৃষ্টি করায় তা মেনে নিতে না পারার একপর্যায়ে চাঁদনী আত্মহননের পথ বেছে নেয় বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরেজমিনে গত শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা রহমতপুর জামে মসজিদ এলাকায় গেলে মনিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, তাদের এলাকার আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে আবু হুরাইরার সঙ্গে ভালবাসার বিষয়টি সকলে জানতো। যদিও হুরাইরার বাবা ও মা মেনে নিতে চাইনি। সম্প্রতি চাঁদনীকে বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করলে বাবা ও মা জানতে পেরে গালিগালাজ করে হুরাইরাকে। বিষয়টি চাঁদনীর মা তহুরা খাতুনকে সতর্ক করে আব্দুর রহমান মুন্সি।

তবে শুক্রবার দুপুরে গফুর সাহেবের বাগানবাড়ি এলাকায় গেলে দেখা গেছে চাঁদনীর মৃত্যুতে মিলাদ অনুষ্ঠান এর জন্য তাবারক তৈরির সময় চাঁদনীর মা তফুরা খাতুন, তার মামা হায়দার আলী, আদম আলীসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে আদম আলী জানান, মৃত্যুর আগে হায়দার বা তিনি কখনো মেহেদী হাসানের উত্যক্ত করার বিষয়টি জানতেন না। ঘটনার পর তারা শুনেছেন।

একই এলাকার চায়না বেগম, পান্না খাতুন, রজব আলী, মিজানুর রহমান, বিউটি খাতুনসহ কয়েকজন জানান, প্রতিবেশি রুনা খাতুনের বাড়িতে অপরিচিত লোকজনদের যাতায়াত ও রাকিবের বাড়ির জানালায় টিন সেটে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় মেহেদী হাসানের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পর্কের অবনতি হয়। মেহেদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রাকিব ও তার বাবা তাদের জানালার টিন খুলে ফেলা নিয়ে শালিসী বৈঠক হয়। ২০ অক্টোবর সকালে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলার সময় মেহেদী হাসান তাকে গালিগালাজ করে। গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে রুমা খাতুনের বাড়ির পাশে অবস্থানকারি মুন্নি খাতুনের সঙ্গে মেহেদীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেহেদী মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বৈকারী এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। মুন্নি খাতুনের অভিযোগ অনুযায়ি কোন কাজ না হওয়ায় বিকেলে সুলতানপুরের কয়েকজন যুবক এসে মেহেদীর বাড়িতে চড়াও হয়। উত্যক্ত করার অভিযোগে রোববার চাঁদনীকে দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ করান মুন্নি ও রুনা। মেহেদী বৈকারী আত্মীয়ের বাড়িতে থাকাকালিন সোমবার সকাল নয়টার দিকে চাঁদনী আত্মহত্যা করে। বিকেল ৫টায় পুরাতন সাতক্ষীরা ফাড়িতে আপোষনামায় সাক্ষর করানোর নামে ডেকে এনে উপপরিদর্শক মনির হোসেন মেহেদীকে আটক করে। তারা দাবি করেন মুন্নি খাতুন, রুনা খাতুন, চাঁদনী, তার মা তফুরা ও হুরাইরার মোবাইল ফোনের ভয়েস রেকর্ড যাচাই করলে আত্মহত্যার মুল রহস্য উদঘাটন হবে। পাশপাশি তফুরা খাতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। একইভাবে আত্মগোপন করে থাকা হুরাইরা ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ডায়েরীর লেখা অনুযায়ি তদন্ত করতে হবে।

শনিবার দুপুর ১২টায় বাটকেখালি কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে চাঁদনীর একমাত্র ঘনিষ্ট বান্ধবী খাদিজা খাতুন জানায়, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আবু হুরাইরার সঙ্গে প্রেম ছিল চাঁদনীর। গরীব প্রেমিককে মিশনের পাটের দড়ি বোনার টাকা দিত চাঁদনী। সম্প্রতি হুরাইরা চাঁদনীকে বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করলে সে পড়াশুনা শেষ করার জন্য সময় চায়। বিষয়টি তার ডায়েরীতে লেখে। বদরুদ্দিন স্যার , ফারুক স্যার ও স্কুলে যাওয়া- আসার পথে হুরাইরা চাঁদনীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতো। হুরাইরার বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি ও মায়ের বকুনির জন্য চাঁদনী তার বাম হাত কেটে রক্তাক্ত করেছে কয়েকবার। মেহেদী হাসান কখনো চাঁদনীকে উত্যক্ত করেছে এমনটি না শুনলেও ওই ছেলেটি স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো। ফারুক স্যারের কাছে পড়ে ফেরার সময় ২৪ অক্টোবর আবু হুরাইরা সরকারি কলেজ মোড়ে চাঁদনীর সঙ্গে দেখা করলে তারা তিনজন একত্রে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গুড়পুকুরের মেলায় আসে। পথিমধ্যে বিয়ের কথা বলায় হুরাইরার সঙ্গে বচসা হয় চাঁদনীর। একপর্যায়ে গত ২৮ অক্টোবর এলাকার দু’ মহিলার কথা মত জেলা প্রশাসকের কাছে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দরখাস্ত করে। এরপর থেকে চাঁদনীর মনের অবস্থা ভালো ছিল না। ওই দিন বিকেলে চাঁদনী তার বাসায় আসে। পরদিন সকালে মনির স্যারের বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে মা তফুরা খাতুন চলে গেলে চাঁদনী তার বাসায় এসে তাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এক আপুর সঙ্গে দেখা করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর জানতে পারে যে চাঁদনী আত্মহত্যা করেছে। তবে চাঁদনীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পুলিশ তার ডায়েরী উদ্ধার করেছে এমন খবরে হুরাইরা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে।

কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের জানান, মৃত্যুর আগে তারা কোন দিন জানতে পারেননি যে চাঁদনীকে পথে ঘাটে কেউ উত্যক্ত করতো কিনা। টেষ্ট পরীক্ষায় চাঁদনী ইংরাজীতে অনুত্তীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনেক কিছু জানলো অথচ দ্বিতীয় অভিভাবক হিসেবে তিনি জানতে পারলেন না এটা দুর্ভাগ্যজনক।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ

সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

  • ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই’ : জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল
  • ‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
  • সাতক্ষীরার বাঁশদহের ভবানীপুর প্রাইমারি স্কুলে মিলন সভাপতি নির্বাচিত
  • সাতক্ষীরায় র‌্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার
  • আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
  • সাতক্ষীরায় প্রি-পেইড মিটার স্থাপন ও চুরিরোধে ওজোপাডিকো’র অভিযান
  • ৭ অক্টোবরের মধ্যে জেলার সব নদী-খালের অবৈধ নেট-পাটা-বাধ অপসারণের নির্দেশ
  • সাতক্ষীরায় ছাগল খড়ি’তে দেয়ার অপরাধে যুবককে মারপিট!
  • সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
  • পাটকেলঘাটা মডেল হিসাবে জেলায় কাজ করবে: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক
  • তালার জিয়ালা গ্রামকে শহরে রূপান্তরের ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
  • সড়কের জায়গা দখল করে ব্যবসা নয়, অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ ডিসি’র