সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারে শিক্ষার্থী বলাৎকার : চার অভিযুক্তকে গণপিটুনি, অফিস সহায়ক স্ট্যান্ড রিলিজ
সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারে শিশু শিক্ষার্থী বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার রাতে শিশু পরিবারের চার কর্মচারিকে গনপিটুনি দিয়েছে। তাদের একজনকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সোমবার দুপুরে বদলি করে দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি শিশু পরিবারে (বালক) এখন বাস করে ৬৮ জন এতিম শিশু। তারা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের দেখভাল করার জন্য শিশু পরিবারে শিক্ষক কর্মচারিসহ ১৭ টি পদের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- খাওয়া দাওয়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, লেখাপড়া , চিকিৎসা কোনো বিষয়ে সুবিধা নেই তাদের। এ সব বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলেই তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। শিশু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ চারজন কর্মচারি তাদের ওপর সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতন চালায়।
এর প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো লাভ হয় না বলে জানায় তারা। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে দিলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় বলে জানায় তারা।
রোববার বলাৎকার চালানোয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চার অভিযুক্তদের গনপিটুনি দিয়েছে।
শিক্ষার্থী আবদুর রহিম, মো. ইব্রাহীম হোসেন, মো.সাকিব, আহসান হাবিব ও আজমল হোসেন জানায়- ‘আমরা তাদের বলাৎকারের শিকার। আমরা সব শিক্ষকদের অপসারন চাই’। তারা বলাৎকারের অভিযোগ আনে শিশু পরিবারের কর্মচারি বিমান বৈরাগী, তানভির হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কৌশিক ফরহানের বিরুদ্ধে।
বলাৎকার করার অভিযোগে রোববার রাতে তাদেরকে গনপিটুনি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে সাতক্ষীরার সহকারি কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ চৌধুরী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সোমবার সকালে অভিযুক্ত বিমান বৈরাগীকে সাতক্ষীরা থেকে অপসারন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায় অভিযোগ করলেই উল্টো মার হয় তাদের । ‘বাধ্য হয়েই রোববার রাতে আমরা তাদের পিটিয়েছি’।
তবে অভিযুক্ত চার কর্মচারি জানান আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। শিশুরা শৃংখলা ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর হতেই তারা এসব অভিযোগ দেয়। তারা জানান অনেক শিশু প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। তারা নিজেরা মারামারি করে। খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করে। লেখাপড়া করে না। এসব ব্যপারে শক্ত হলেই তারা নানা অভিযোগ দেয়।
শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক মো. মিজানুর রহমান জানান ‘আমি এখানে মাত্র তিনদিন যোগদান করেছি। শিশুদের অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন’। তিনি বলেন, এখানে শৃংখলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
সরকারি শিশু পরিবারের দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা সমাজ সেবা উপপরিচালক দেবাশীষ সরদার বলেন বলাৎকারসহ অন্যান্য অভিযোগ পাবার পরপরই কর্মচারি বিমান বৈরাগীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন