শার্শায় ১৫৮ টি শিক্ষা এপ্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই
বাঙ্গালী জাতির গর্ব ও অহংকারের দিন একুশে ফেব্রুয়ারী। এ দিনে ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকার কথা থাকলেও যশোর জেলার শার্শা-বেনাপোল উপজেলার দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই।
শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় স্কুল, কলেজ, ও মাদ্রাসা মিলে মোট ২ শত ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮টি এবং কলেজে ৩টি শহীদ মিনার আছে।
১৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই। অথচ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার নির্দেশনা থাকলেও ওই সকল প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
গ্রাম এলাকার অধিকাংশ স্কুলে শহীদ মিনার নেই। এমনকি শহরেরও কিছু কিছু স্কুলে শহীদ মিনার নেই।
মাতৃভাষার মর্যাদা আগলে রাখার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ বেদি স্থাপন করা জরুরী। শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ার দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে কোন কোন শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান সরকারি বা বেসরকারি অর্র্থ পেলে শহীদ মিনার গড়ে তোলা হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল জানান, উপজেলার প্রতিটা বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা উচিত। অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বা স্কুল-কলেজে শহীদ মিনার নাই। উপজেলার ১ শত ২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টি, ১০টি কলেজের মধ্যে ৩টি, ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।
শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি কোন বরাদ্দ নাই। তাই সরকারি বেসরকারিভাবে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য শহীদ মিনার নির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার থাকা দরকার। আমি গত বছর মাদ্রাসা ও স্কুলে দু‘টি শহীদ মিনার নির্মান করেছি। এবছর পরিকল্পনা আছে আরও ২/১ টি নির্মান করার।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন