ভেদাভেদ ভুলে সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের দুই শীর্ষ নেতা আলীঙ্গনে
কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকায় ডেকেছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলীয় সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে একে অপরকে আলীঙ্গন করেন সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সভাপতি মুনসুর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। পূর্বের সকল ভেদাভেদ ভুলে মুনসুর আহমেদ ও নজরুল ইসলামকে একে অপরকে বুকে জড়িয়ে আলীঙ্গন করার অনুরোধ জানান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আ. লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল, সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এমপি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নেয়। এসময় থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে স্পষ্টতই পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে থাকে দুটি পক্ষ। সদর উপজেলা আ. লীগ, পৌর আ. লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে অবস্থান নেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মে. নজরুল ইসলামের পক্ষে।
অন্যদিকে, জেলা আ. লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সদর এমপি মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে অবস্থান নেয় দলের অপর একটি অংশ। দলের বিবাদমান দু’টি অংশের বিরোধ ক্রমেই বাড়তে থাকার এক পর্যায়ে কেন্দ্র থেকে উভয় পক্ষকে ঢাকায় ডাকা হয়।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে সারা দেশে বাড়তে থাকা দলীয় কোন্দলকে নিরসনের সিদ্ধান্ত নেন আ. লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে একের পর বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার এরই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরার ৫ জন শীর্ষ নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিত হতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় প্রথমে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপস্থিত জেলা নেতাদের বৈঠকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যাখ্যা করেন।
পরবর্তীতে ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে বৈঠকের মূল আলোচনা শুরু হলে তিনি বলেন- “আপনারা একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন তা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চাই আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে আ.লীগেকে আগামিতে ক্ষমতায় আনতে কাজ করবেন। আমরা কোন বিরোধ দেখতে চাই না। যার যা ক্ষোভ আছে, বিরোধ আছে সব এখানেই শেষ করে যাবেন।
জেলা সভাপতি মুনসুর আহমদ তার পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রত্যুত্তরে নজরুল ইসলাম তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে এমপি রবি তার বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রত্যুত্তরে নজরুল ইসলামও তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
ওবায়দুল কাদের উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিভিন্ন বিষয়ে তার মতামতও প্রকাশ করেন।
এক পর্যায়ে তিনি মুনসুর আহমেদ ও নজরুল ইসলামকে সবকিছু ভুলে পরস্পকে আলীঙ্গন করার জন্য অনুরোধ জানালে তারা একে অপরকে বুকে জড়িয়ে আলীঙ্গন করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন