বিশ্ব দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ
কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাস প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গ্রহণ করেন, যা সদ্য স্বাধীন দেশে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে একটি মাইলফলক। এরই ধারাবাহিকতায় দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১৫, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী হালনাগাদ ও তা বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুসরণীয় মডেল হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছে।’
দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘আমাদের সরকার দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০), ধ্বংসস্তূপ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬, দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬ প্রণয়ন করেছে। গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাসমূহে ২০৭৮ কিলোমিটার হেরিং বোন বন্ড করা হয়েছে এবং আরও ১০৬৮ কিলোমিটার রাস্তার হেরিং বোন করার কাজ চলমান আছে।’
তিনি বলেন, “দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬৪৩টি বন্যা/ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং গ্রামীণ জনপদে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বজ্রপাত প্রশমনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই দেশে ৩১ লক্ষাধিক তালগাছের বীজ বপন করা হয়েছে। জাতীয় বিল্ডিং কোডে বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’র মূল সুর প্রতিফলিত হয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তিতে গ্যারেজে কাজে করে পড়ালেখা কলারোয়ার মোশাররফের
লেখাপড়াকে বাদ দিয়ে নয় বরং বাস্তবতা আর প্রয়োজনের তাগিদে সৎপথেরবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে ঈদ ১১ আগস্ট বাংলাদেশে ১২ আগস্ট
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ১১ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আযহাবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশে ঈদুল আজহা হতে পারে ১২ আগস্ট
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের অন্যতম উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীবিস্তারিত পড়ুন