‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা’ দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রবিবার দশম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা’ দিবস পালন করা হচ্ছে।
অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, মানবহিতৈষী সংগঠন, সুধী সমাজসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।’
রাষ্ট্রপতির বাণী: অটিস্টিক ব্যক্তিও রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকদের সমমর্যাদার অধিকারী
অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, মানবহিতৈষী সংগঠন, সুধী সমাজসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, অন্তর্নিহিত গুণাবলি ও সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে অটিস্টিক ব্যক্তিদেরও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা সম্ভব। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, অটিস্টিক ব্যক্তিও রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকের মতো সমমর্যাদার অধিকারী। বর্তমান সরকার অটিস্টিকসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বিশেষ চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার, কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে কল্যাণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলে তারা আজ রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
সভ্যতা ও উন্নয়নে অটিস্টিক ব্যক্তিরা অনবদ্য অবদান রাখছেন উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অটিস্টিক ব্যক্তিদের গড়ে তুলতে তাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তারা যাতে আত্মপ্রত্যয়ী ও স্বাবলম্বী হয়ে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখতে পারেন তা নিশ্চিত করা ‘আমাদের সবার দায়িত্ব’।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ দিবস উপলক্ষে ‘আমি অটিস্টিক ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের অভিভাবক এবং তাদের উন্নয়নে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ’
প্রধানমন্ত্রীর বাণী: অটিস্টিকরা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রবিবার দশম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা’ দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিস্টিক ব্যক্তি, অটিস্টিক শিশু-কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন, বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক ধারণা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তার (সায়মা ওয়াজেদ) উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন। তার পরামর্শে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবা প্রদান এবং তাদের মা-বাবা বা যত্নদানকারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিনাক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এটিকে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি অ্যান্ড অটিজম-এ রূপান্তর করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, ‘আমরা অটিস্টিক ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছি। এ সব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে অটিস্টিক শিশু ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। ’
সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন