বঙ্গবন্ধু কন্যার বিচক্ষণতা এবং একটি চাকরির নেপথ্য কাহিনী…
আশরাফুল আলম খোকন:
নিশ্চয় সবার মনে আছে। গত বছরের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের দিনে জঙ্গিদের গুলিতে গৃহিণী ঝর্ণা রানী ভৌমিক মারা গিয়েছিলেন। এসময় তিনি নিজ বাসায় ছেলেদের জন্য রান্না করছিলেন। তাঁর দুই ছেলে, বাসুদেব ভৌমিক ও শুভদেব ভৌমিক। ছোট ছেলে ক্লাস সিক্সে পড়াশোনা করলেও বড় ছেলে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করে এমবিএ’তে অধ্যয়নরত ছিলেন। পারিবারিক অবস্থাও সচ্ছল না। তাদের বাবাও ছিলেন বেকার। চর শোলাকিয়া এলাকায় এক শতাংশ জমিতে ছোট্ট একটি ছাপড়া ঘর তুলে তারা বসবাস করতেন।
মাতৃহীন পরিবারটির অসহায়ত্ব এবং দুরাবস্থার কথা বর্ণনা করে নিহত ঝর্ণা রানীর বয়োবৃদ্ধ স্বামী গৌরঙ্গ ভৌমিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরিবারটির জন্য সহায়তা ও বড় ছেলের চাকরির জন্য একটি আবেদন করেন। যথাযত নিয়মে চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়।
বলে রাখা ভালো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিদিন এই রকম শত শত আবেদনপত্র প্রক্রিয়া করা হয় এবং সম্মতির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপনের আগে, আবেদনগুলোর মূল্যায়ন করে কাকে কী সহায়তা করা যায় সেই পরিমাণটি আবেদনপত্রের উপরে উল্লেখ করে দেয়া হয়। ঝর্ণা রানীর পরিবারের আবেদনের উপরেও উল্লেখ ছিল ২ লক্ষ টাকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত সম্মতির পর আবেদনপত্রগুলো কার্যালয়ের এসাইনমেন্ট অফিসারের কাছে ফেরত আসে। এর মধ্যে একটি আবেদনপত্রের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজ লেখা, “দুই লক্ষ টাকা মাত্র, মানে একটি চাকরি দেয়া নয়। ”
এবং ২০ লাইনের আবেদনপত্রটির ১৮ নম্বর লাইনটি কালো কালির কলম দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিজের হাতে আন্ডারলাইন করা, যেখানে চাকরি চাওয়ার কথাটি উল্লেখ আছে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু কন্যা আবেদনপত্রটির প্রতিটি শব্দ পড়েছেন। যে কাজটি তিনি সবকিছুর ক্ষেত্রেই করে থাকেন। মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি শব্দ দেখেন এবং পড়েন।
আজ সকালে এর বাস্তবায়ন ঘটেছে। জঙ্গি হামলায় নিহত ঝর্ণা রানীর ছেলে বাসুদেব ভৌমিক বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছ থেকে চাকরির নিয়োগপত্রটি গ্রহণ করেছেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সহকারী অফিসার পদে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এই সময় হাস্যোজ্জ্বল বাবা গৌরঙ্গ ভৌমিক এবং ছোট ভাই শুভদেব ভৌমিক তার সঙ্গে ছিলেন।
যারা কথায় অন্যদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যার তুলনা করেন, কথায় কথায় সমালোচনা করেন তাদেরকে বলি, এতটা নির্দয় হবেন না, করলে গঠনমূলক সমালোচনা করুন। নয়তো এক সময় জাতির কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এমন মহানুভব এবং বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য গর্বের। জনগণের জন্য দিনরাত কাজ করতে বয়স কিংবা ক্লান্তি কোনোটাই তাঁকে ক্ষান্ত করতে পারেনি।
(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন