প্রত্যাবাসন চুক্তির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্ষোভ
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, তার বিরুদ্ধে একদল রোহিঙ্গা শুক্রবার কক্সবাজারের একটি শরণার্থী শিবিরে বিক্ষোভ করেছে। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের একটি ব্লকে এই বিক্ষোভে একশোর মতো শরণার্থী অংশ নেন। তারা মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তোলার দাবি জানান। তবে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের এ ধরনের বিক্ষোভের কোন তথ্য তাদের জানা নেই। এই বিক্ষোভের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আনুমানিক শ খানেক লোক সেখানে জড়ো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সামনে ছিল ইংরেজী লেখা একটি ব্যানার। এতে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। রাখাইনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি জানানো হয় এতে।
এছাড়া প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়ারও দাবি জানানো হয়। এই বিক্ষোভের সংগঠকদের একজন নিজেকে মহিবুল্লাহ বলে পরিচয় দেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সকাল আটটায় কুতুপালং শিবিরের ই ব্লকে এই বিক্ষোভ হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সময় এখনো আসেনি। এজন্যে আমরা আজ সকাল আটটায় এই বিক্ষোভ করেছি। রাখাইনে আমাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। রোহিঙ্গা হিসেবে আমাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ওপর যারা অবিচার করেছে তাদের বিচার করতে হবে। তাহলে আমরা ফেরত যেতে পারি। ” তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় তারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে প্রস্তুত নন। তবে কুতুপালংয়ে স্থানীয় সাংবাদিক এবং রোহিঙ্গাদের অনেকের সাথেই কথা বলে জানা যায় তারা এ বিক্ষোভ সম্পর্কে কিছুই জানেনে না। এমনকি কুতুপালং এবং টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যারা নেতৃস্থানীয় হিসেবে পরিচিতি তাদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেল এ ধরনের বিক্ষোভ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লী আগামীকাল থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শুরু করবেন। স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারাও কোন ধরনের বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করছেন।
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান বলছেন এ ধরনের কোন বিক্ষোভের কথা তিনি শুনেননি। মিয়ানমারের সঙ্গে করা এক চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ সরকার যখন রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন রোহিঙ্গাদের এ ধরণের বিক্ষোভ সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলছেন রোহিঙ্গাদের এসব বিক্ষোভ জোরালো কিছু নয়। তবে সেটি যে জোরালো হবে না এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায়না বলে উল্লেখ করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের এ বিক্ষোভের সাথে জড়িত মহিবুল্লাহ বলছেন তাদের কর্মসূচী ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। কিন্তু কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত হলেও সেটির ভিডিও মানবাধিকার কর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের হাতে বেশ দ্রুত পৌঁছেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন