টানা ৫দিন ছুটির পর বেনাপোল বন্দর আবারো সচল
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ছুটি শেষে কর্মব্যাস্ততা শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বুদ্ধ পুর্নিমা, সাপ্তাহিক ছুটি,পহেলা মে ও পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটি শেষে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে আবারও ফিরে এসেছে কর্ম-ব্যস্ততা।পণ্য লোড আনলোডে ব্যস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বন্দরের কমকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার (মে ০৩) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পথে ভারতের পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চলছে পুরোদমে।
বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স অফিস খুলেছে। পণ্য ছাকরনের কাজে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বন্দরের পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ইউনিয়নগুলো তাদের অফিস খুলেছে। পাঁচদিন ছুটিতে এসব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো অনেকটা অর্থ কষ্টের মধ্যে ছিল। ৫ দিনের ছুটি শেষে এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় তাদের চোখে এখন খুশির ঝিলিক ।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি হওয়া পণ্য থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে গত পাঁচদিন ছুটির কবলে পড়ায় প্রায় ১শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার। লম্বা ছুটির পর অফিস খোলায় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ট্রাক ভাড়া অনান্য সময়ের চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, লম্বা ছুটির কারণে বাণিজ্যে স্থাবিরতা নেমে এসেছিল। এতে বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করতে না পেরে দেশের বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কাজ ব্যহত হয়েছে। টানা ছুটি কবলে পড়লে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি পণ্য ছাড়করনে বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করার দরকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা যায়, অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৭৫ শতাংশ আসবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।বেনাপোল থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তেমনি একই সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পৌঁছায় কলকাতায়। এ কারণে আমদানিকারদের বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারে বরাবরই আগ্রহ বেশি।প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩শ’থেকে সাড়ে ৩ শ’ ট্রাকে করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। ভারতে রফতানি হয় দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য। এছাড়াও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাচাঁমালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়করে সরকার।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাণিজ্য সচলের বিষয়ে জানান- যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তারা কর্মস্থলে ফিরে যথারীতি অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দরে আটকে থাকা পণ্যগুলো দ্রুত খালাস করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবাই মনোযোগ দিয়েই কাজ করছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন