কলারোয়ায় ভেলকিবাজী
জ্বলে না-জ্বলে না, জ্বলে না রে, রাস্তার সোলার বাতি জ্বলে না রে….
জ্বলে না, জ্বলে না, জ্বলে না রে, রাস্তার সোলার বাতি জ্বলে না রে…। গানের সুরে অনেকেই এমন কথা বলছেন। কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রদত্ত সোলারের সড়ক বাতি এতটাই নিন্মমানের যে সেগুলো স্থাপনের কিছুদিনের মধ্যে বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বর্তমান সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ ও জনসেবা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে কতিপয় অর্থলোভি ব্যক্তিদের ব্যক্তিস্বার্থের কারণে।
অনেকে অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন- কলারোয়ায় ‘স্যোলার সড়ক বাতি’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রায় সব ক’টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩টি করে সোলার বাতি দেয়া হয়েছে জনগণের সুবিধার্থে। রাতের অন্ধকারে আলো জ্বালাতে আর সর্বসাধারণের জনকল্যাণে বর্তমান সরকার এ ব্যবস্থাটি করেন। কিন্তু বিধিবাম, সেগুলো স্থাপনের কিছু দিনের মধ্যেই বেশির ভাগ সড়কের সোলার বাতি গুলোতে আর জ্বলে না। কিছু বাতি ধিকধিক করে জ্বলে আর নিভে যায়। ফলে রাতের আধারটি আরো বিরক্তিকর করে তুলেছে স্থানীয়দের।
অথচ বর্তমান সরকারের জনকল্যানমূলক মহতি এ কাজটি সুনাম বয়ে না এনে বরং দুর্নাম হচ্ছে কতিপয় স্বার্থনেষি ব্যক্তিদের কারণে। অথচ যেনো দেখার কেউ নেই।
এটা নতুন নয়, এর আগেও পাঠকপ্রিয় ‘কলারোয়া নিউজে’ স্ট্রিটলাইটের ভেলকিবাজী নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।
জানা গেছে- এ প্রকল্পে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলায় ১কোটি ৮৬লক্ষ ১৭হাজার ২শ ৪০টাকার বাজেট হয়, যা ২/১ মাসের মধ্যেই অচাল হয়ে পড়ে। এই প্রকল্পটির কাজ করেন ম্যাক্স কোম্পানী নামে একটি প্রতিষ্ঠান। নিন্মমানের ব্যাটারী ও স্যোলার সিস্টেমে নিন্মমানের পন্যসামগ্রি দেয়ায় সড়ক বাতি অচল হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভাতেও জানান। তবে তাতেও কোন কাজ হয়নি।
অথচ এবারও একই প্রকল্প ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এনজিও সংস্থা ব্রীজ বাংলাদেশ নামে নতুন করে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩শ ৫৭ টাকার সড়ক বাতি প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কার্যাদেশের মাধ্যমে ৫০% চুক্তি করে অগ্রীম বিল তুলতে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
সাধারণ মানুষেরা বলছেন- ‘এ কেমন প্রকল্প, যা কাজ না করে অগ্রীম বিল উঠানো যায়? যা সরকারের ভাব মুর্তি নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়।’
বিষয়টি সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।
এদিকে, রবিবার ১০জুন সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘আমি আজ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলারোয়াকে – আমার একই অভিযোগের বিষয় জানিয়েছি।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন