রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

ভোটের হাওয়া : সাতক্ষীরা-১

জোটে জট ! মাথাব্যাথায় আ.লীগের ওয়ার্কার্সপার্টি, বিএনপির জামায়াত

জাতীয় সংসদ সদস্য ১০৫ সাতক্ষীরা-১ আসনটি কলারোয়া ও তালা উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২৪টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ৩টি পুলিশ থানার এ আসনে সর্বশেষ তালিকানুযায়ী ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন। বর্তমানে এমপি আছেন মহাজোটের শরীক ওয়ার্কার্সপার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরো সদস্য ও দলটির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে নেমেছেন বিভিন্ন দলের ২১জন সম্ভাব্য প্রার্থী। দ্বন্দ্ব আর আস্থাহীনতায় জর্জরিত বড় দু’টি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। আ.লীগের রয়েছে এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আ.লীগের শরীক জাতীয়পার্টি, ওয়ার্কার্সপার্টি ও জাসদের রয়েছে ৬জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আর বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও যথারীতি তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি জামায়াতের প্রার্থী।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা যায়- আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং ও তৃণমূলের প্রচারণায় নাম রয়েছে- দলটির জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় সহ.সভাপতি সরদার মুজিব, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, তালা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সুপ্রীম কোর্টের আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোহাম্মদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ.সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, স.ম আলাউদ্দীন মেয়ে জেলা মহিলা আ.লীগ নেত্রী লাইলা পারভিন সেজুতি, আ.লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম আমজাদ হোসেন, আ.লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সোহাগ, কলারোয়া উপজেলা আ.লীে নেতা অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির।
শরীক দলগুলোর মধ্যে রয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, কেন্দ্রীয় জাসদের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশীষ দাস ও জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান।
অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে যাদের নাম প্রচার পাচ্ছে তারা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ।
এছাড়াও আছেন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এড.ইয়ারুল ইসলাম।

বিভিন্ন সূত্র জানায়- এবারো নৌকার মাঝি হতে পারেন ওয়ার্কার্সপার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। ধানের শীষ হাতে থাকবে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের। জোট দু’টির প্রার্থীতার ক্ষেত্রে বাঁধ সাধতে পারেন জাপা প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। তবে আ.লীগের সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ নুরুল ইসলাম ও সরদার মুজিবও ফ্যাক্টর হতে পারে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে।

ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঘরোয়া বৈঠক থেকে শুরু করে সভা-সমাবেশ, পোস্টার, ব্যানার, প্যানা সেটে জানান দিচ্ছে নিজেদেরকে। তবে এক্ষেত্রে আ’লীগ ও তার সমমনা দলগুলো এগিয়ে থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের কর্মকান্ড বিশেষভাবে চোখে পড়ছে না।

এলাকার উন্নয়ন আর সমস্যা-সম্ভাবনা মূলত উহ্য থেকে যাচ্ছে আ.লীগ ও বিএনপির জোট দু’টির অস্তিস্ত টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। কোন দল বা কোন প্রার্থী এলাকা ও জনসাধারণের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে দল ও দলীয় প্রতীককে জিতিয়ে নেয়ার লড়াইয়ে। মহাজোট চায়ছে আগামি নির্বাচনেও আসনটি ধরে রাখতে আর ২০ দলীয় জোট চায়ছে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।

আ.লীগের তৃণমূলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা বলছেন- ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন, সমৃদ্ধ ও সার্বিক ইতিবাচক সকল কর্মকান্ড বিলীন হয়ে যাচ্ছে এ আসনের দলটির আভ্যন্তরীণ কোন্দল-দ্বন্দ্ব আর কতিপয় নেতাদের চরম দূর্নীতি, ব্যক্তিস্বার্থ ও স্বেচ্ছাচারীতায়। গত কয়েক বছরে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় সেটাই প্রমান করে। তবু কর্মীদের দাবি- নিজ ঘরানার প্রার্থীতায় নৌকাকে আরো বেগবান করা যেতে পারে। প্রার্থীতার ক্ষেত্রে স্থানীয় আ.লীগের মাথা ব্যথা বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত।’

বিএনপির তৃণমূল বলছে- ‘চরম সমন্বয়হীনতা আর আস্থার অভাবে দলটির নেতৃবর্গের সাথে মূলত তৃণমূলের কোন সংযোগ নেই। অনুকূল পরিবেশে সুবিধা নেয়ার সময় বিএনপির বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দ যেনো গজিয়ে ওঠেন। আর ক্রান্তিকালে তাদের খুজে পাওয়া যায় না। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে ছাড়া খোঁজও নেন না প্রান্তিক কর্মী-সমর্থকদের। তারপরেও সরকার ও শাসকদলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কর্মকান্ডে আপনাআপনি ভাবেই বিএনপির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারা আরো জানান- মূলত বিএনপির কর্মকান্ডের জন্য নয়, বরং আ.লীগের গ্রাম পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাদের কর্মকান্ডের জন্যই বিএনপির ভোট বাড়ছে। এ আসনে ভোটের মাঠে বিএনপির মাথা ব্যাথার কারণ আ.লীগ নয় বরং জামায়াত।’

বরাবরই ধর্মভিরু এ অঞ্চলটি যেনো জামায়াত ভক্ত। গ্রামের সাধারণ মহিলা থেকে পুরুষেরা বুঝে-না বুঝে জামায়াতের দিকে ঝোকে। ‘ধর্ম আর ইসলাম জামায়াতের পৈত্রিক সম্পত্তি’- এমনটা মনে করে এবং শাসকদলের নেতাকর্মীদের ঔদ্ধর্ত আচরণে জামায়াত সমর্থন কমছে না। ‘জামায়াত সমর্থন না দিলে বিএনপি জিততে পারবে না’- এমন ধারণায় এতো চাপের মধ্যে থেকেও এ আসনটি জামায়াত ধরে রাখতে চায়।

দ্বন্দ্ব আর আস্থাহীনতা রয়েছে এখানকার বড় জোট দু’টির দলগুলোতে। ২০১৩-১৪সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে কলারোয়া ও তালা উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত প্রকাশ্য পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। সেই থেকে সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপি ও জামায়াত আজো এক হয়নি। বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বি মূলত জামায়াত-ই। যদিও বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতের নূন্যতম কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি চোখে পড়ে না। মামলা-গ্রেপ্তার-ভয় ইত্যাদিতে তাদের ব্যস্ত থাকতে হয় আদালতে কিংবা আত্মগোপনে।
অপরদিকে, শরীকদল ওয়ার্কার্সপার্টি, জাসদ ও জাতীয়পার্টির সাথে স্থানীয় আ.লীগের দৃশ্যমান দ্বন্দ্ব না থাকলেও মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব আছে। এ আসনে শরীক ওই ৩টি দলের তেমন কোন ভোটব্যাংক না থাকলেও কেন্দ্রীয় জোটের হিসেবে-নিকেষে ছাড় দিতে হচ্ছে স্থানীয় আ.লীগকে। দলটির কয়েকজন নেতা সম্প্রতি শরীকদলীয় এমপির বিরুদ্ধে এই প্রথম বিষেদগারও করেছেন। তবে তার চেয়েও ভয়াবহ আ.লীগের নিজেদের কোন্দল-দ্বন্দ্ব রূপ নিয়েছে সংঘর্ষেও। কলারোয়া ও তালা উপজেলাতে আ.লীগের একাধিক গ্রুপ, উপ-গ্রুপ ও পন্থিতা চরম আকার ধারণ করেছে।

ভোটারদের ভাষ্যমতে- সকলদলের অংশগ্রহনে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে এই আসনে মূলত আ.লীগ ও বিএনপি মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেক্ষেত্রে আ.লীগের একক প্রার্থী থাকলে কিংবা শরীকদের নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপরীতে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে তাদের সুবিধা। কারণ নিজেদের দলীয় বিদ্রোহী প্রাথী না থাকলে দলীয় সাধারণ ভোটাররা প্রতিপক্ষ বিএনপি কিংবা জামায়াতকে কখনই ভোট দেবে না।
আর বিএনপির একক প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকলেও দলটির উপজেলা দু’টির বেশিরভাগ নেতাদের জনসম্পৃক্ততা না থাকায় তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে। তাদের কিছু ভোট যে জামায়াত ঘরনায় চলে যাবে না, সেটা নিশ্চিত নয়। পাশাপাশি দীর্ঘদিন এলাকায় না এসেও শাসকদলের কর্মকান্ডে আপনাআপনি ভাবেই জনপ্রিয়তা ও ভোট বৃদ্ধি পাচ্ছে বিএনপি প্রার্থীর। তাছাড়া ‘এ আসনে ‘বএনপি মানেই হাবিব’ -এমনটা ধরে নিয়ে নিজ দলের মধ্যে তার বিকল্প বা প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় সুবিধা পাবেন তিনি।
জামায়াতের বিষয়টা ভিন্ন। নানান চাপে নিষ্পেষিত দলটির অন্ধভক্তের সমর্থকরা দল ও দলীয় প্রাথীরা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তাদের মতে- আ.লীগ তো প্রশ্নই উঠে না, বিএনপির সাথে কোয়ালিয়শন হলে তখন দেখা যাবে। তবে তারা নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে কোন ভাবেই এ আসনটি বিএনপিকে ছাড় দিতে নারাজ, যেকোন মূল্যে তারা এ আসন ধরে রাখতে চায়।

বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুুৎফুল্লাহ জানান- ‘২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত আ.লীগের নেতা-কর্মী খুনসহ যে তান্ডব চালিয়েছিলো সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর ভুমিকা পালন করেছি। এমপি হওয়ার পর তালা-কলারোয়ার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে কপোতাক্ষ নদ খনন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অন্য বারের তুলনায় সরকার এ আসনে বেশি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দলীয় কোন্দল, দলবাজি, টেন্ডারবাজির সাথে নিজে না থাকা এবং এটাকে স্বাভাবিকভাবে করতে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা চাঁদামুক্তভাবে ব্যবসা করছে, কোনো হয়রানির শিকার হয়নি। একটি সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
এসব কারণেই তিনি আবারও মহাজোটের মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও দলটির সাতক্ষীরা জেলার সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান- ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়া থেকে বিএনপি মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। বর্তমান সরকার তাঁকেসহ তার নেতাকর্মীদের একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করে এলাকা ছাড়া করেছে। বেগম জিয়াকে জেলে রেখে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে সেই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।’

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত জানান- ‘তিনি মন্ত্রী থাকা কালীন সময়ে তালা-কলারোয়ায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অনুমতি নিয়েই আগামি সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন পেলে তিনি আবারও নির্বাচিত হবেন।’

আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তালা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম জানান- ‘এ আসনে আ.লীগ বারবার জিতেছে। বর্তমান ওয়ার্কাসপার্টির এমপির কাছে উন্নয়ন নিয়ে প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির ঘাটতি আছে অনেক। এবার আর শরীক নয়, আ.লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আ.লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।’

সাবেক এমপি আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান জানান- ২০০৮ সালে এ আসন থেকে তিনি এমপি হওয়ার পর কপোতাক্ষ খনন ও শালিকা নদী খনন করেন, ১৩টি সাইক্লোন সেন্টার ভবন নির্মাণ, পাকা রাস্তা, স্কুল কলেজের নতুন ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগের সহ.সভাপতি ও জেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব জানান- দলের পরীক্ষিত ও বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের সুখ-দু:খে সব সময় পাশে আছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৩০ হাজার ভোট পান। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে তার আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে দল তাকে মূল্যায়ণ করবেন বলে তিনি মনে করেন।’

উল্লেখ্য, গেলো দশম সংসদ নির্বাচনে প্রথমে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান তালা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম। পরে জোটের হিসেব-নিকেষে তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে মহাজোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। অবশ্য বিএনপি-জামায়াত অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিবের সঙ্গে। তবে এবার ওয়ার্কার্স পার্টি ফের জোটগত আসনটি ধরে রাখতে চায়লেও আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে চায়ছেন।
এর আগে ৯ম সংসদ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৪দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে হারিয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান। ৮ম সংসদ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানকে পরাজিত করে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এর আগে এরশাদপতনের পর ৯১’র নির্বাচনে জামায়াতের শেখ আনছার আলী নির্বাচিত হন। ৯৬’র ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও ঠিক পরের নির্বাচনে আ.লীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকি নির্বাচিত হন। সাকির মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে জয়ী হন আ.লীগের বিএম নজরুল ইসলাম।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী