বিধি অমান্য করে গাইড কোম্পানির সরবরাহ করা প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগে মণিরামপুরের ইত্যা ও পলাশী হাইস্কুলের দুই প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।

সোমবার অফিস সময়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিস করেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিসের জবাব চাওয়া হয়েছে। নোটিসের একটি কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে স্কুলে নিষিদ্ধ জননী গাইড বইয়ের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ওই কোম্পানির সরবরাহ করা প্রশ্নে ত্রৈমাসিক পরীক্ষা নিয়েছিল এই দুই প্রতিষ্ঠান। সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে ওই দুই প্রধানের বিরুদ্ধে। ফলে তাদের শোকজ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওবায়দুর রহান নোটিসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পলাশী বহুমুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও ইত্যা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার সরকারও নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, নোটিসের কপি দিয়েছে। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে।

সুকুমার সরকার বলেন, আমাদের টিও স্যার ডেকেছিল। আমরা ভুল স্বীকার করেছি। তারপরও নোটিস করা হয়েছে।

মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে ডেকে শোকজ করা হয়েছে।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই দুই শিক্ষককে নোটিস করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। নোটিসের এক কপি তিনি আমার অফিসে পাঠিয়েছেন।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---