কার্তিকেই জেঁকে বসেছে পৌষের শীত
উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। হঠাৎ শীত আসায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।
শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে কুড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। লেপ-তোষক বানানোর ধুম পড়েছে জেলাজুড়ে। শীতের কারণে শিশুদের সর্দি-জ্বর, কোল্ড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু’র সংখ্যা বাড়ছে।
ধান, ঘাষ, ফুল, লতা-পাতা, গুল্ম শিশিরে ভেজা। সূর্যের আলোয় ঝিলিক মারছে শিশির ফোঁটা।
সোমবার দুপুরে বৃষ্টি’র পর হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর এই প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পায়। দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
হঠাৎ শীত আসায় শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে দুর্দশা বেড়ে গেছে। ঠাণ্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত জেলা ছিল কুয়াশা ছিল। শহরের বাহিরে গিয়ে দেখা গেছে চারদিক কুয়াশায় ঢাকা। সড়কে লোক চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। বিভিন্ন স্থানে জটলা বেধে গোল হয়ে মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছেন। প্রতিটি বাড়িতে গবাদিপশুর শরীর চট দিয়ে ঢাকা।
শামসুল নামে একজন জানান, ‘বিকালে বৃষ্টির পর খুব ঠাণ্ডা পড়ছে। সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। টপটপ করে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। বাতাসও খুব। কাঁথা গায়ে দিয়েও কাজ হচ্ছে না।’
দিনমজুর হাশেম ও কামাল বলেন, বন্যার পানিত ফসল গেছে। এখন শীতের কষ্ট। কষ্ট বুঝি আর শেষ হয় না। গরম কাপড়ের অভাবে রাইতোত ঘুম আসে না।
ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
এদিকে শীত আসায় লেপ-তোষক তৈরিতে ধুম পড়েছে। এবার দাম বেড়েছে লেপ-তোষকের। শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের দাবি করছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন