কলারোয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীতাহানী ও তা মোবাইলে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ৪যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাদের কলারোয়া থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ওই ঘটনায় আটক ৪যুবককে আসামি করে কলারোয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে, মামলা নং-৩২, তাং-১৯/৭/১৭ইং।

মামলার বিবরণে জানা যায়- কলারোয়া পৌরসভাধীন গদখালী গ্রামের মোশারফ হোসেন টগরের কন্যা কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১২) গত ১৬জুলাই রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে স্কুলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের পাশের একটি রাস্তায় উত্যক্ত ও শরীরের স্পর্ষকাতর স্থানে স্পর্ষ করে শ্লীতাহানী করে ৪ যুবক। ওই যুবকদের মধ্যে শাকিল ওই ছাত্রীকে স্কেলদিয়ে গায়ে আঘাত করে ও অপর এক যুবক অপু শ্লীতাহানীর চেষ্টা করে। সেসময় অপর দুই যুবক উজ্জল ও সজল ওই ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।

ওই দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে ও বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর পিতা মোশারফ হোসেন টগর বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অভিযুক্ত ৪যুবককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত বখাটে ৪যুবককে আটক করে। আটককৃতরা হলো- পৌরসভাধীন গদখালী গ্রামের মোশারফ হোসেন শেখের পুত্র আজাহার হোসেন শেখ অপু (১৬), একই গ্রামের আব্দুর রহমান গাজীর পুত্র শাকিল হোসেন গাজী (১৬), শ্রীপতিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম গাজীর পুত্র উজ্জল হোসেন গাজী (১৬) ও গদখালী গ্রামের আলী আল মামুনের পুত্র সজল মোড়ল (১৭)।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেছেন।

এদিকে, ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সুধি সমাজ।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---