কলারোয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান দোকানের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যে শিশুস্বাস্থ্য হুমকিতে
স্কুলে গেলে অনেক শিশুরা আশপাশের দোকান থেকে কিছু কিনে খেতে চায়। আর সেজন্যই প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান দোকানে শিশুখাদ্য বিক্রয় করতে দেখা যায় হরহামেশা।
ব্যতিক্রম নয় কলারোয়া উপজেলার প্রায় সকল শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশেও। প্রাইমারি স্কুলের পাশাপাশি হাইস্কুল-মাদরাসা এমনকি কলেজগুলোর পাশেও এমন চিত্র দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে চিন্তা-ভাবনা করার সময় এসেছে ওই সকল খাদ্যসামগ্রি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত? তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যকে ডিঙ্গিয়ে স্থানীয় নিন্মমানের মুখোরোচক খাদ্যের ছড়াছড়িতে প্রতিনিয়ত ঝুকছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের মুদির দোকান, ভ্যান-সাইকেলের ভ্রাম্যমান দোকান।
সেখানে নামী-বেনামী চিপস, লজেন্স, চকলেট, আচার, বিস্কুট, পাউরুটি, আইসক্রিম, মশলা মুড়ি, চানাচুর, স্থানীয় প্রক্রিয়ায় তৈরিকৃত তেল-মশলা মাখিয়ে আমড়া, পেয়ারা, শশা, বুটভাজা, বাদামভাজা, চটপটি, ফুসকা, মটরভাজা, পানীয় ইত্যাদি ভাজাভুজি বিক্রি করা হয়।
এসকল দোকানে ঝুলিয়ে-মেলিয়ে প্রদর্শিত এরূপ নানান বাহারি ধরণের খাবারের রঙিন পসলা আকর্ষণীয় হলেও বিষাক্ত কেমিক্যাল ও অস্বাস্থ্যকর প্রস্তুতপ্রণালী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
তাদের দাবি- অল্প পুজিতে বেশি লাভের প্রত্যাশা আর মুখোরোচকের হাতছানিতে এসকল খাদ্যসামগ্রি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রয় করে থাকে দোকানদাররা।
ব্রান্ডের কোম্পানির বাইরে এসকল খাদ্য কোথা থেকে আসে বা কোথায় উৎপাদন হয় অনেক সময় তার কোন হদিস পাওয়া যায় না। লাগে না কোন বিএসটিআই’র অনুমোদনও।
এ বিষয়ে অনেক দোকানদারদের সাথে কথা বলে বেরিয়ে এসেছে নানান তথ্য।
দোকানদাররা জানান- বিভিন্ন কোম্পানির সেলসম্যানেরা এসব পণ্য নিয়ে আসেন। বিক্রয় বেশি হওয়ার কারণে আমরাও কিনে রাখি।’
অনুমোদন কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তাও জানেন না স্বয়ং বিক্রেতারাই। তাদের একটাই যুক্তি- শিশুসহ ক্রেতারা ক্রয় করায় চাহিদা বেশি তাই বিক্রি করি।
আর ভ্রাম্যমান দোকানের ভাজাভুজিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রি ও কোমলপানীয়ের ব্যাপারে তো স্বাস্থ্যসম্মতের বিষয়টি কার্যত উহ্য। এসকল দোকানদারা এগুলো চিন্তুাও করেন না।
এ বিষয়ে কয়েকজন অভিভাবক জানান- ‘আমরা গ্রামের মানুষ, এতো কিছুতো ভাবি নাই। বাচ্চারা বায়না ধরে, না কিনে দিলে কান্নাকাটি করে। তাই কিনে দেই।’
সচেতন অভিভাবকরা জানান- ‘এসব খাবারের সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় খেলনা ফ্রী। আর এসব খেলনার প্রত্যাশায় শিশুরা হাতে তুলে নিচ্ছে নিম্নমানের সব খাবার।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রাইমারি স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জানান- ‘স্কুলের পাশে স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান দোকান থেকে শিশুরা খাদ্যসামগ্রি কিনে খায়। শিশুদের পাশাপাশি দোকানদারদের নিষেধ করলেও শোনে না। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এখানে আমাদের কঠোরতার সুযোগ থাকে না। ফলে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এটি মেনে নিতে হয়।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে জোর দিয়ে কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও.) ডা. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান- ‘এসকল খাদ্য খেলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। বড়দের চেয়ে শিশুদের শরীরে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় নানান সমস্যা দেখা দেয়।’
অখাদ্য থেকে আমাদের কোমলমতি বাচ্চাদের রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন