কলারোয়ায় ‘রঙিন মাছের কারিগর’ সাইফুল অন্যদের দৃষ্টান্ত
কলারোয়ায় রঙিন মাছ চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ‘রঙিন মাছের কারিগর’ উপজেলার ব্রজবকসা গ্রামের সাইফুল ইসলাম গাজী। অ্যাকুয়ারিয়ামের জন্য তিনিই প্রথম কলারোয়ায় রঙিন মাছের চাষ শুরু করেছেন। গড়ে তুলেছেন ‘রেজা অ্যাকুরিয়াম ফিস এ্যান্ড হ্যাচারী’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। সফল হয়েছেন নিজে, দৃষ্টান্ত হয়েছেন অন্যদের।
সাইফুল ইসলাম জানান- তিনি পরিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে বেশিদূর পড়াশুনা করতে পারেননি। কাজ করতেন ঢাকার মিরপুরে এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টারিতে। একসময় ভালো কাজের সন্ধানে ভারতে চলে যান তিনি। সেখানে এক বন্ধুর সহযোগিতায় রঙিন মাছ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেন। কিছুদিনের মধ্যে আয়ত্ত্ব করেন রঙিন মাছ উৎপাদনের কলাকৌশল। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে এসে শুরু করেন রঙিন মাছের চাষ।
৩৯ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম আরো জানান- ২০০৪সালে ৬শ’ ২০ টাকা পুজিঁ নিয়ে তার ব্যবসা শুরু। নিজ অভিজ্ঞতায় প্রজননের সময় বিশেষ পদ্ধতিতে ডিমে জিং ব্যবহার করে কিছু মাছের রং বদলে দিতে সক্ষম হন। পরে এই রঙিন মাছ সাতক্ষীরা সদরে কয়েকটি অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে ভালো দামও পান তিনি। এরপর থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেন।
তিনি জানান- ঢাকা আহছানিয়া মিশন থেকে ৫০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২টি পুকুর ইজারা নিয়েছেন। এরপর পুকুরের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে ৩০ একর জমিতে রূপান্তর করেছেন। তৈরি করেছেন মাছের ডিম প্রজননের জন্য আলাদা নার্সারি। সাতক্ষীরা, খুলনাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা তার থেকে রঙিন মাছ কিনে ব্যবসা করেন।
উচ্ছাসিত হয়ে তিনি জানান- ২৬টি পুকুর লিজ নিয়ে রঙিন মাছ উৎপাদন করছেন। এতে ২৬জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। গাপ্পি মলি, গোল্ড ফিস, ফাইটার, প্লাটি, সারভে টেট্টা, কমেট, মিল্কি, মনটেল মলি, কৈ কার্প, অরেন্ডা, সিল্কি, কিচিং গোরামিনসহ ২৬ প্রজাতির মাছ রয়েছে তার হ্যাচারীতে। প্রতিটি মাছ সর্বনিম্ন ১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২০থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
তিনি দাবি করেন- বাংলাদেশে এই রঙিন মাছ চাষ হচ্ছে মূলত তিন জায়গায়। তিনি বাংলাদেশে প্রথম চাষী। রঙিন মাছ চাষ করে নিজের স্বপ্নগুলোকে রাঙিয়ে তুলেছেন তিনি। মাছ বিক্রয় করে তিনি ৬বিঘা জমিও ক্রয় করেছেন। বর্তমানে তার হ্যাচারীতে ২কোটি টাকারও বেশি মাছ রয়েছে।
কলারোয়ায় উৎপাদিত রঙিন মাছ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব দাবি করে তিনি বলেন- সরকার সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও বেকারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো অনেকে এ পেশায় এগিয়ে আসবে। তিনিও এলাকার কয়েকজন যুবককে উৎসাহ দিয়ে রঙ্গিন মাছের চাষ করতে সহযোগিতা করছেন।
কলারোয়া উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়- তারা চেষ্টা করছেন সাইফুলকে সহায়তা করার জন্য। কয়েকজন মাছ চাষিকে রঙিন মাছ চাষের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
এদিকে ‘রঙিন মাছের কারিগর’ সাইফুল ইসলাম গাজী অভিযোগ করে জানান- তার হ্যাচারীতে গত মাস দুয়েক ধরে মাছ চুরি শুরু হয়েছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন