কলারোয়ায় একই সময়ে ঘন্টাধ্বনী বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করলো শিশুরা
প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অধিকার আদায়ে বৈশ্বিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘আমরা ঘন্টা বাজাই’ একই সময়ে ঘন্টাধ্বনী বাজিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করলো বাংলাদেশের শিশুরা।
বুধবার (১৩মার্চ) ঠিক দুপুর ১২টায় একই সঙ্গে, একযোগে বাংলাদেশের শিশুরা এক মিনিট ধরে ঘন্টা বাজিয়ে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার আদায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো নীতি নির্ধারক ও দেশবাসীর।
We ring the bell” নামক বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও অ-প্রতিবন্ধী শিশুরা ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘন্টা, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র এমনকি থালা বাসনে আওয়াজ তুলে প্রতীকী এ কর্মসূচী পালন করেছে।
একই সময়ে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী “We ring the bell” নামক এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর We ring the bell নবষষ এর মূল বার্তা হল: ” আমরা চাই প্রতিবন্ধীসহ সকল শিশু বিদ্যালয়ে আসুক”। যে সমস্ত প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যেতে পারেনা তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অন্য সকল প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী নয় এমন সকল শিশু, তাদের শিক্ষক, অভিভাবক মিলে এ কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ঠ নীতি নির্ধারন কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষন করলো।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কলারোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর বারোটা থেকে বারোটা এক মিনিট পর্যন্ত একযোগে ঘন্টাধ্বনী বাজালো কলারোয়ার শিশুরা। এ কর্মসূচীতে বিশিষ্টজন ও নীতি নির্ধারনী কর্তৃপক্ষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষক, স্কুল শিক্ষার্থী, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধী, সুধী সমাজ, স্থানীয় প্রশাসন, সাংবাদিক ও অন্যান্য এনজিও কর্মী।
সারাবিশ্বব্যাপি এই কার্যক্রমটি একইভাবে উদযাপন করছে প্রতিবন্ধী ও সাধারণ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের আঙ্গিনায় একত্রিত হয়ে ১ মিনিটব্যাপি বেল ও ড্রাম বাজিয়ে অসাধারণভাবে কোলাহল তৈরী করেছে। We ring the bell নবষষ ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি একই দিন বেল রিলে ও সিগনেচার ক্যাম্পেইন নামে আরো দু’টি পৃথক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্দেশ্য একটাই প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয়ে গমনের বিষয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।
এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয় গমনে প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।
“We ring the bell নবষষ” ক্যাম্পেইনটি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক লিলিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ যা বাংলাদেশে এর কৌশলগত অংশীদার ডিআরআরএ (ডিজ্যাবল্ড রিহ্যবিলিটেশন এ্যান্ড রিসার্চ এসোসিয়েশন) সারাদেশে পালন করছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা প্রদান ও সকলকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য লিলিয়ান ফাউন্ডেশন ডিআরআরএ-কে সহায়তা করছে এবং ডিআরআরএ এর স্থানীয় অংশীদার সাতক্ষীরা মানব কল্যান সংস্থা (এসএমকেএস) মাধ্যমে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তা বাস্তবায়ন করছে।
কিন্তু বাংলাদেশে ও সারা বিশ্বে এ বিষয়ে সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। এসব স্কুল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আক্ষরিক ও চরিত্রগতভাবে আরও বেশি প্রবেশগম্য হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ যেন প্রতিবন্ধী শিশুদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং শিক্ষা যে প্রতিবন্ধী শিশুরও মৌলিক অধিকার সেটা যেন সকলে অনুধান করে।
বৈশ্বিক লক্ষ্য
২০০০ সালে জাতিসংঘের ২০০ টি দেশ আটটি বিষয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সম্মত হয়। এর মধ্যে একটি লক্ষ্য হল ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবে, যা এখনো অর্জিত হয়নি। সারা বিশ্বে অনেকশিশু (৮৯% পর্যন্ত) বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে নিন্ম ও মধ্যম আয়ের দেশ সমূহে মাত্র ১০% প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যায়। এমনকি নেদারল্যান্ডেও তাদের অংশগ্রহণ অনেক কম। “We ring the bell” যদিও একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান, কিন্তু ২০১৯ সালে এর গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করছে।
২০১৬ থেকে পরবর্তী সময়ের জন্য জাতিসংঘ নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে তা অর্জনে কাজ করছে। এই নতুন লক্ষ্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হবে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্টাল গোলস এ সুবিধা পায়নি সেইসকল ব্যক্তিবর্গ। এরা হল বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী শিশু ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি। ২০০০ সাল থেকে তারা খুব কমই উন্নয়ন করতে পেরেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার এটাই মূখ্য সময় এবং এই পরিবর্তনের ডাক বিশ্বব্যপি যত উচ্চ ঝংকার তুলবে বিশ্ববাসী সেই ডাক তত ভাল শুনতে পাবে।
সাতক্ষীরা মানব কল্যান সংস্থা (এসএমকেএস) এর প্রোগ্রাম অফিসার (ফোকাল) মোঃ ইফতেখার আলম প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন