মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

কলকাতার সৌন্দর্যের অন্যতম একটি নাম ‘ট্রাম’ (ভিডিও)

পুরনো শহর কলকাতা। শহরে রাস্তার দু’পাশে পুরনো দালান কোঠা যেন ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন। শহরের জীবনযাত্রার মান সময়ের আবর্তে অনেকটা পাল্টেছে। তবে এখনো এমন কিছু প্রাচীন ঐতিহ্য আছে, যাকে আধুনিকতার ছোঁয়া আজও পেছনে ফেলতে পারিনি।

সম্প্রতি আমার কলকাতা ভ্রমণ নিয়ে লেখা ধারাবাহিক ফিচারের আজ ২য় পর্ব প্রকাশ করলাম। গত পর্বে বলেছিলাম ‘পাতাল রেল’ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। আজ মেলে ধরবো কলকাতার রাজপথের ট্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।

সময়টা পড়ন্ত বিকেল। সেদিনও ছিল রিমঝিম বৃষ্টির ছোঁয়া। শিয়ালদহ সংলগ্ন রাস্তায় হাঁটছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়লো রাজপথের ট্রাম লাইন। কিছুক্ষণ পরেই চোখের সামনে ঐ লাইন দিয়ে দুই বগিযুক্ত একটা ট্রাম চলে গেল। প্রথম দর্শনে আমার কাছে দৃশ্যটা ছিল নয়নাভিরাম। বেশ কিছুক্ষণ পর এলো আরেকটি ট্রাম। তারপর সেটাতে চড়ে বসলাম।

ট্রেনের মতো ঝক ঝকা ঝক শব্দ করে চলে ট্রাম। তবে চলার গতিটা বেশ কম। আর এই চলার গতি তুলনামূলক কম হওয়ায় কলকাতা শহর ঘুরে দেখার ক্ষেত্রে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় ট্রামই রয়েছে শীর্ষে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে ট্রাম।

প্রবীণদের মুখে এখনো শোনা যায়, এক সময় কলকাতাকে প্রাণসঞ্চয় করেছিল রাজপথের ট্রাম। যুগে যুগে সেই ট্রাম আজ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কলকাতার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে অঙ্গাঙ্গিকভাবে মিশে রয়েছে ট্রাম। আবার কলকাতার অনবদ্য সৌন্দর্যের অন্যতম একটি নাম এই ‘ট্রাম’। বলা যায় শহরের প্রাচীনতম ‘আধুনিক’ বাহন এটি।

বাস্তবে দেখা গেছে কলকাতাবাসীর কাছে ট্রাম শুধুই যানবাহন নয়, এ এক অন্যরকম আবেগ! এখানে বাসের মতো গাদাগাদি ভিড় নেই, আবার খোলসখানা ঠিক ট্রেনের মতো; কলকাতার বুকে সর্পিল গতিতে এঁকেবেঁকে চলেছে নিজের দাপটে। আর হবে নাই বা কেন? ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম চালু হয়েছিল এই অভিনব যান, যা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মাথা উঁচু করে এখনো তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

বৈদ্যুতিক লাইনে চলা ট্রাম প্রথম দর্শনে যে কাউকে তার ভালবাসায় মুগ্ধ করতে সক্ষম। তবে এই ট্রাম কিন্তু শুরু থেকেই বৈদ্যুতিক ছিলো না। ১৪৫ বছর আগে ১৮৭৩ সালে আর্মেনিয়া ঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ট্রাম চলাচল শুরু হয়। শুরুর দিকে ঘোড়া দিয়ে ট্রাম চালানো হতো। সে সময় ১৭৭টি ট্রামের জন্য ১ হাজারটি ঘোড়া ব্যবহার হতো। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ১৯০২ সালে ট্রাম চালাতে বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কলকাতায় ট্রাম পরিচালনার দায়িত্ব নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আজও প্রায় ৩০ হাজার কলকাতাবাসীর মূল পরিবহন ট্রাম। সঙ্গে আছে কলকাতার মানুষের ঐতিহ্যের প্রতি অগাত আবেগ। ট্রাম ঘিরে সেই আবেগ আর নস্টালজিয়া যতদিন থাকবে ততদিন ট্রাম ইতিহাসকে বুকে নিয়ে কলকাতার রাস্তায় চলতে থাকবে।

লেখক :

আবু রায়হান মিকাঈল
গণমাধ্যম কর্মী

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী