অপরাধীরা জাল ভিসা-পাসপোর্টের সাহায্যে সহজেই দেশ ছাড়ছে: র্যাব
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৩২টি নকল পাসপোর্ট, বিভিন্ন দেশের নকল ভিসা, স্ট্যাম্প টিকেট তৈরির কাগজপত্র ও সরঞ্জামসহ নাসিবুর রহমান (৩৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আতিকুল ইসলাম লিমন (৪০) ও আব্দুল কুদ্দুস (৩৫) নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব বলছে, এই চক্রের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীরাও ‘সহজেই’ বিদেশে পালিয়ে যেতে পারছে।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযানের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। তিনি বলেন, “দেশে চাঞ্চল্যকর হত্যা, ধর্ষণ বা বিভিন্ন গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়। কিন্তু কিছুদিন পর আসামিকে আমরা আর খুঁজে পাই না। তদন্ত করে প্রায়ই দেখা যায়, ওই অপরাধী দেশের বাইরে চলে গেছে।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, “আসল পাসপোর্ট-ভিসা করতে সময় লাগে। এক্ষেত্রে ওইসব অপরাধী জাল ভিসা-পাসপোর্ট তৈরি চক্রের সাহায্য নিয়ে সহজেই যেতে পারছে। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত, কারণ ভুয়া ভিসা ও আসল ভিসার রঙে অনেক পার্থক্য থাকে। ট্র্যাভেল এজেন্সি আর ইমিগ্রেশনে যারা বোর্ডিং কার্ড দেয়, যারা ইমিগ্রেশন যাচাই করে- তাদের হাতে এগুলো ধরা পড়ার কথা। ”
অভিযানে উদ্ধার জিনিসপত্রের মধ্যে ভারতের হরিদাসপুর স্থল ইমিগ্রেশনের একটি সিল পাওয়া গেছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, “ওইসব নকল পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে অবৈধপথে ভারতে যায় অপরাধীরা, তারপর ভারত থেকে দায়িত্বরত কেউ যদি তল্লাশি করে, তখন সেই ভুয়া সিল লাগানো পাসপোর্ট-ভিসা দেখানো হয়, কিন্তু সহজে ধরা পড়ে না। ”
এই চক্র বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কুরিয়ারের মাধ্যমেও নকল পাসপোর্ট-ভিসা পাঠায় বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “তারা হাতে লেখা পাসপোর্ট তৈরি করে, বিদেশ থেকে চাহিদা পেলে সে অনুযায়ী অনেক আগের তারিখ দিয়ে সেগুলো বাইরে পাঠানো হয়। পরে সেগুলো বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিয়ে জিডিটাল পাসপোর্টও নিচ্ছে। ”
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি লোক নেওয়া বন্ধ রাখলেও এ চক্র সেসব দেশেও মানব পাচার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে বাংলাদেশি পাসপোর্ট জাল করে ভারতে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে ভারতীয় পাসপোর্টের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে।
ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “এ চক্রের সঙ্গে আরও বহুলোক জড়িত। এরা জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সিতে বিক্রিও করে থাকে। প্রতিটি জাল পাসপোর্ট সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ”
ওই অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন