কলারোয়া হাসপাতাল সংলগ্ন গরুর খামারটি যেন ডেঙ্গুর খামার!
কলারোয়া হাসপাতাল সংলগ্ন গরুর খামারটি যেন ডেঙ্গুর খামার! শীরোনামটির চেয়ে আতকে উঠার মতো ভয়ংকর অবস্থা সেখানকার বাস্তব দৃশ্য দেখলে। দেখলে মনে হবে- গরুর খামারে ডেঙ্গুর চাষাবাস।
সোমবার (২৬আগস্ট) সরেজমিনে গা শিউরে উঠা এমন সচিত্র ফুটেজ ক্যামেরাবন্দি করেছেন কলারোয়া নিউজের সিনি.রিপোর্টার সরদার জিল্লুর।
উপজেলা সদরের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান কলারোয়া সরকারি হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের বাউন্ডারি সংলগ্ন বৃহৎ একটি গরুর খামারে এইডিস মশা প্রজননের অবাধ জন্মস্থান তৈরি হয়েছে। ডেঙ্গু তৈরীর মতো সব ধরনের আলামতও সেখানে দৃশ্যমান।
ইতোমধ্যে সেখানকার পাচিল ঘেরা বিশাল স্থাপনার বহু স্থানে ডেঙ্গুবাহিত মশার আশাঙ্কা করছে কলেজের শিক্ষক, ছাত্রী ও সচেতন জনগণ।
বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লেও ব্যক্তি মালিকানাধীন কঠোর নজরদারির এই চার দেয়ালের মধ্যে ভয়ানক চিত্র বিরাজ করছে। সেখানে প্রবেশ করার মতো কোন সুযোঘ না থাকলেও অতিকৌশলে সেখানে প্রবেশ করেন সাংবাদিক।
কলারোয়া হাসপাতাল রোডে হাসপাতালের প্রাচীর ঘেষে ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের গেটের সাথেই সাইন বোর্ডে লেখা আছে “ডলফিন ফিস প্রজেক্ট এন্ড রিংকী ডেইরী ফার্ম” নামের একটি গরুর খামার। খামার তো না যেনো ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিন। ফার্মটির ক্লকসিবল গেট খুলে ঢুকতেই বাম হাতে একটি পরিত্যাক্ত নোংরা গোডাউন। ডানের একটি ঘরে মিলের যন্ত্রপাতি বসানো। সামনের ফাঁকা জায়গায় দু‘সারিতে গরুর খাদ্য খাবারের জন্য বসানো আছে ২৫/৩০টি পাঁকা নান্দা। যার মধ্যে অব্যবহারিত ও অনেক দিনের জমানো পানির দৃশ্য স্পষ্ট। পাশে বায়োগ্যাস তৈরীর নামে একটি বড় সড় আন্ডারগ্রাউন্ড ময়লার হাউস রয়েছে, যার অবস্থাও বেহাল। পাশেই রয়েছে মহিলা কলেজে ও হাসপাতালের বাউন্ডারি প্রাচীর। প্রাচীরের গাঁ ঘেষেই বড় একটি অপ্রবাহিত ড্রেনের মধ্যেই আটকা পড়ে আছে খামারের গরুর মল-মূত্র। এই মল-মূত্র সেখান থেকে অন্যত্র বের করার মত কোন ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা স্থায়ী অবস্থান করছে। বাউন্ডারির এক পাশে রাখা টায়ারের মধ্যেও অনেক দিনের পানি জমে থাকতে দেখি গেছে।
সব মিলিয়ে গোটা গরুর খামারটি যেনো এইডিস মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। অথচ সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার লেশমাত্র নমুনা মিললো না।
দেশব্যাপী যখন ডেঙ্গু ও এইডিস মশা প্রতিরোধে সচেতনতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলমান তখন জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকাতে এমন অবস্থা কতটুকু সমীচীন সেই প্রশ্ন উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই ফার্মের মালিক মো. মনসুর আলী কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে ক্যাশিয়ার পদে চাকুরী করতেন, বর্তমানে অবসরে আছেন। ঐ রোডের সাথেই তার বড় অট্টালিকা আছে। তিনি নিজে ফার্মে খুব একটা যাতায়াত করেন না। একজন কেয়ারটেকার তার এই ফার্ম দেখাশুনা করেন।
এই ফার্মের পাশেই রয়েছে ডজন খানিক ক্লিনিক, প্যাথলজি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবাসিক এলাকা ও শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসী জানান- গরমের দিনে খামারের অতি দূর্গন্ধে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। স্কুল, কলেজ হাসপাতালসহ সকল চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিরাজ করে।
বিষয়টা নিরসনে অতিদ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
তারা বলছেন- এই অবস্থা বেশী দিন চললে খুব তাড়াতাড়ি এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার করবে।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন
ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন-
ভিডিওতে দেখুন। কলারোয়া হাসপাতালের গাঁ ঘেষে গরুর খামারে এডিস মশার কারখানা।
Posted by Kalaroa News on Monday, August 26, 2019
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন