চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্সের বিষয়ে বলেছেন, আমি কিন্তু খেলা দেখেছি। অনেক রাত পর্যন্ত। অফিসিয়াল কাজ যেমন করেছি, খেলাও দেখেছি। হয়তো একবার দেখতে পেরেছি, একবার পারিনি। যতটুকু সময় পেয়েছি, খেলা দেখেছি। আমি তো আমাদের ছেলেদের ধন্যবাদ জানাব, তারা যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছে। তাদের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস কিন্তু এসেছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে।
সোমবার চীন সফর নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ক্রিকেট প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে এত দূর যেতে পেরেছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের কিছু খেলোয়াড়, সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান এরা বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। আমি দোষ দেব না। খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক সময় কিন্তু ভাগ্যও লাগে। সব সময় যে সবকিছু ঠিকমতো হবে, একই রকম হবে, সেটা নয়। ক্রিকেটাররা সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পেরেছে, আমি এটার প্রশংসা করি।
৪ দল সেমিফাইনাল খেলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতগুলো দেশ খেলেছে। এর মধ্যে চারটা দেশ মাত্র সেমিফাইনালে উঠেছে। তাহলে কি আপনারা বলবেন বাকিরা সবাই খুব খারাপ খেলেছে? আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করেন কেন? নিজেদের এতো খারাপ বলি কেন? বরং আপনারা এটা বলেন, যে একেকজন জাঁদরেল জাঁদরেল খেলোয়াড়, দীর্ঘদিন যারা খেলে খেলে অভ্যস্ত, তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে আমাদের ছেলেরা খেলতে পেরেছে। তাদের খেলায় আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব তো আমি দেখি না।
তিনি বলেন, ‘এখানে দোষ দেয়ার কিছু নাই। দোষ যদি দিতেই হয়, ওই চারটি দল বাদ দিয়ে বাকি সব দলকেই দোষ দেন। খালি বাংলাদেশকে দোষ দেবেন না। আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বরং ফোন করে ওদের বলি, খেলো তোমরা, তোমরা ভালো খেলেছ। ৩৮১ রান তাড়া করে (অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ) বাংলাদেশ ৩৩৩ রান করল। আপনারা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনারা খারাপ বলবেন কীভাবে? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।
ক্রিকেটের উত্থান হচ্ছে, স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা জিনিস খেয়াল করেন; আসলে খেলোয়াড় হিসেবে আসছে কারা, আপনি খেলোয়াড় পাচ্ছেন কোত্থেকে, কত জন পাচ্ছেন। প্রথম যখন সরকারে ছিলাম, আমাদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্রীড়া মন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই আমাদের মনোযোগ ছিল, আমাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যেন বিভিন্ন খেলাধুলায় মনোযোগী হয়। সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ছোট থেকে অভ্যস্ত করে করে, অনুশীলন করে করে, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো হয়েছে। তাদের তৈরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ কিন্তু ভালো করছে। এগিয়ে যাচ্ছে।’
‘আপনারাই বলেন বয়স ৩৫-এ উন্নীত করা উচিত হবে কিনা’
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের বিগত কয়েকটি বিসিএসে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স অনুযায়ী পাসের ফলাফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এতে ২৩ থেকে ২৫ বয়সের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের পাসের হার বেশি এবং ২৯ ঊর্ধ্বদের পাসের হার খুবই কম। এখন আপনার বলেন বয়স ৩৫ বছরে উন্নীত করা উচিত হবে কি হবে না? তাছাড়া বয়স ৩৫ করলে ট্রেনিং শেষ করে চাকরিতে প্রবেশ করতে ৩৭ বছর লেগে যাবে। আবার ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাওয়া যায় না-এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীদের বিষয়টি তুলে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে, সদ্য সমাপ্ত পাঁচ দিনের সরকারি চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন