সরকারি নিয়ম ৬৫বছর হলেও কলারোয়ার ইউনুস ৫০বছর বয়সেই পেলেন বয়স্কভাতা!
কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা গ্রামের মৃত রজব আলী সরদারের ছেলে ইউনুস আলী। তার বয়স বর্তমান ৫২ বছর। তিনি জালজালিয়াতির মাধ্যমে বিগত দুই বছর যাবৎ বয়স্ক ভাতা উঠাচ্ছেন। অথচ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হয়েছে তিনিই একমাত্র বয়স্ক ভাতা পাবেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসি শনিবার সকালে কলারোয়া প্রেসক্লাব বরাবর তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, ইউনুস আলী কলারোয়া উপজেলার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার নিকট আত্মীয় হওয়ার সুবাদে এ ধরনের অনেক সুবিধা ভোগ করেছেন। যার দৃষ্ঠান্তস্বরুপ বয়স্কভাতা পাওয়ার জন্য তিনি নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের সব তথ্য ঠিক রেখে বয়স ১৬ মে ১৯৬৫ এর স্থলে ১৬ মে ১৯৫০ লিখে জালিয়াতির মাধ্যমে অবিকল আর একটি ভূয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করেন।
ওই ভূয়া জাতীয় পরিচয় পত্র দেখিয়ে বয়স্কভাতা তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর হতে মাসিক ৫০০ টাকা টাকা হারে ব্যাংক হতে অদ্যবধি টাকা উত্তোলন করে আসছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী একজন পুরুষ ৬৫ বছর এবং মহিলার বয়স ৬৩ বছর পূর্ণ হলে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার দাবীদার। অথচ বিগত দুই বছর পূর্বে ২০১৭ সালের যেদিন থেকে ইউনুস আলী বয়স্কভাতাভুক্ত হয়েছেন তখন তার প্রকৃত বয়স ছিল ৫০ বছর। কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নং ১৯৬৫৮৭১৪৩৭১২১৯৭৯৭ বয়স ১৬-৫-১৯৬৫, ভোটার নং ৮৭০১০১২১৯৭৯৭।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, বয়স্ক ভাতা দেওয়া বর্তমান সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া, বয়স্কভাতা তালিকা বাস্তবায়নের সভাপতি স্ব-স্ব ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি তার নাম অন্তর্ভক্ত করে আমার অফিসে বয়স্ক ভাতার তালিকা জমা দিলে আমিও চড়ান্ত তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করি। বর্তমানে শুনছি তার জাতীয় পরিচয় পত্রটি ভূয়া ছিল, সেটা আমি জানতাম না। তাছাড়া তিনি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তরে কর্মরত থাকা অবস্থায় এমন একটি অপকর্ম করবে, সেটা আমার জানা ছিল না।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর সত্যতা অনুসন্ধানের কাজও চলছে। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে ইউনুস আলীর নাম বয়স্ক ভাতার তালিকা হতে বাদ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউনুস আলীর নিকট জানতে চাইলে বয়স্কভাতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জামায়াত-বিএনপি’র লোকজন আমাকে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। সেসময় আমি পঙ্গুভাতার দাবিতে একটি আবেদন করি। কিন্তু পঙ্গুভাতা পাওয়ার সময় না থাকায় উপজেলার উদ্ধর্তন কর্মকতারা আমাকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড করে দেন। আমি জাতীয় পরিচয় পত্র জালজালিয়াতি করি নাই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন