সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় গরুর পাসপোর্ট-ভিসা, রাখালের জীবনের মূল্য ৬হাজার টাকা!!
সাতক্ষীরার ৩৪ ব্যাটালিয়ানের টাউনশ্রীপুর বিওপির আওতায় বাংলাদেশী গরু রাখাল দিয়ে খাটাল বা বিটের অনুমোদন না থাকা সত্বেও অবৈধ পথে নদী সাঁতার দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে গরু। সাথে আসছে মাদকসহ অন্যান্ন নিষিদ্ধ পন্য। বিভিন্ন প্রশাসনের নামে তোলা হচ্ছে গরু প্রতি ৭হাজার ২০০টাকা।
এছাড়া রাখালদের গরু প্রতি ৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আর এসকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয় কতিপয় সেন্টিগেটের হোতার মাধ্যমে।
সাতক্ষীরা সহ সারা দেশে বাংলা বছরের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় খাটাল বা বিটের অনুমোদন। বর্তমানে দেশের কোথাও খাটাল বা বিটের অনুমোদন নেই। অথচ সাতক্ষীরা জেলার ৩৪ ব্যটালিয়নের আওতায় দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর বিওপির আওতায় শীবনগরের ওয়াপদা ভেড়ির কোনা হতে চরশ্রীপুরের শেষ মাথা পর্যন্ত এর মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে সাঁতার দিয়ে নিয়ে আসছে গরু।
গরু রাখালের জীবনের মূল্য ৬হাজার টাকা!!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- ভারত থেকে অবৈধপথে আসা এসকল গরুর গায়ে বিভিন্ন নং, অক্ষর ও সংকেত লেখা থাকে। বাংলাদেশে আসার পর গরু গায়ে সংযুক্ত করে দেয়া সিল। এ যেনো গরুর পাসপোর্টের উপর ভিসাযুক্ত সিল! আর গরু আনা নেয়ার কাজে নিয়োজিত জন বা কামলা বা রাখালদের পারিশ্রমিক ৬হাজার টাকা করে দেয়া হলেও মাঝেমধ্যেই সীমান্তে বিএসএফ’র নির্যাতন কিংবা গুলি থাকে ফ্রি। সেই অর্থে রাখালদের জীবনের মূল্য ৬হাজার টাকা বলেও অনেকে অবিহিত করে থাকেন। সব মিলিয়ে গরুর এই কৃত্রিম পাসপোর্ট-ভিসার সাথে রাখালদের তুচ্ছ জীবনকে কাচকলা দেখিয়ে আঙুল ফুলে মোটা হচ্ছেন এলাকার প্রভাবশালী অনেকে।
সাথে আসছে মাদকসহ নিষিদ্ধ পন্য
এলাকাবাসি জানায়, দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর গ্রামের তাবারক গাজীর ছেলে ছাইদ গাজীর নেতৃত্বে সকল গরু রাখালরা ভারত থেকে গরু আনে এবং তা বিক্রি হয়। আর এরই মধ্যে কিছু গরু রাখালের মাধ্যমে একই সাথে মাদকসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ পন্য আনা হচ্ছে। এই সীমান্ত এলাকায় ভাতশালা গ্রামের রাজু এবং আজিজপুর গ্রামের সাদাইসহ আছে ২০/২৫ জন বাংলাদেশী রাখাল। এরা প্রতিদিনই সাঁতার দিয়ে ভারতে যায় এবং ভারতের বিএসএফ এর ভয় বা মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে সাঁতার দিয়ে গরু এনে পার্শ্ববর্তী কোঁড়া গ্রামের প্রথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে বাঁশ বাগানে অথবা ওই অঞ্চলের কারোর না কারোর বাড়িতে রেখে আসে। সেখান থেকে পারুলিয়া গরুর হাটের অবৈধ পাস নিয়ে গরুগুলি বিক্রি করে।
এজন্য প্রতিটি গরু রাখালকে গরু প্রতি ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
বিভিন্ন প্রশাসনের নামে তোলা হচ্ছে গরু প্রতি ৭হাজার ২০০টাকা
তবে যেহেতু অবৈধ ভাবে গরু রাখালরা ভারতে যায় সেজন্য তাদের কাছ হতে পাচিং বাবদ গরু প্রতি ১ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। আর গরু আসলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্য এই ছাইদ বিভিন্ন প্রশাসনের নামে প্রতিটি গরুর জন্য ৭ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে থাকে। এভাবেই তার কোন জমি বা সহায়-সম্পদ না থাকা সত্বেও গ্রামে ৪০লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরী এবং পালসার মটর সাইকেল কিনেছে।
সব চলছে সেন্টিগেটের মাধ্যমে
এলাকাবাসি আরো জানায়, ছাইদ যেহেতু এই সকল কার্যকালাপের নেতা এজন্য তার বিরুদ্ধে অন্যায় বা অবৈধ কাজ করলেও প্রতিবাদ করার কারো সাহস নেই। কারণ প্রতিবাদ করলে তার বাড়িতে অবৈধ কিছু রেখে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারা তার বা তার পরিবারের কোন সদস্যের মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার ভয় আছে।
এবিষয়ে ৩৪ ব্যাটালিয়নের সিও লে. ক. মো. মোস্তফা আসাদ ইকবালকে বিষয়টি অবগত করালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অথচ তার পরও প্রতিদিনই একই ভাবে গরু আসছে বা চোরাকারবারী চলছে। এলাকাবাসির অভিমত এর প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেই?
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন