জীবিকা নির্বাহে তালরস সংগ্রহে ব্যস্ত কলারোয়ার গাছিরা
সাতক্ষীরা কলারোয়ার কিছু ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী যশোর মণিরামপুরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে তাল রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।
অবশ্য এই চাষাবাদটা কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এলাকায় খুব বেশী একটা দেখানা গেলেও পার্শ্ববর্তী মনিরামপুরের বেশ কিছু ইউনিয়নের মানুষ তালের রস সংগ্রহ করে থাকেন।
প্রতিনিয়ত তাল গাছ চাষীরা নিজ নিজ ইউনিয়ন বাজার ও বিভিন্ন বাজারে ওই রস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
গ্রীষ্মের এই তাপাদহ গরমে মনকে সতেজ করতে তালের রস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এবং প্রতি গেলাস তালরস ৫ টাকা দরে-বিক্রি করেন বলে জানান গাছিরা।
কলারোয়ার দেয়াড়াসহ ১২টি ইউনিয়নে সরেজমিনে তেমন একটা দেখানা গেলেও পার্শ্ববর্তী মনিরামপুরের চাকলা ও সেখানকার অন্যান্য এলাকাধীন গাছিরা বেশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তালগাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজে।দেখা গেছে,তাললগাছে সহজে ঝুঁকিহীন ভাবে উঠার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি খাটি ব্যবহার করেছেন গাছের গোড়ায় বিশেষ ভাবে বাঁশের ঠেস।ওই রস সংগ্রহ করে পানিয় খাদ্য হিসেবে বাজারজাতসহ আগুনে জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে-স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আবার সেগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয় করা হয়ে থাকে বলে জানা যায়।
প্রতিদিন সকাল-দুপুর এবং বিকালে তিন ধাপে তালগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। একধাপে সংগৃহীত রস বেশীর ভাগ গ্লাস হিসেবে বিক্রি এবং অন্যান্যগুলো গুড় তৈরি করা হয়।এছাড়া তালগাছ গুলোতে ছোট্ট ভাড়-(আঞ্চলীক ভাষায় পুরুলী)পেতে রাখার সময় তাল গাছের মৌচা বা খাদির ঝুলন্ত আগার মাথা সামান্য সামান্য অংশ কেটে ফেলতে হয় বলে জানান গাছিরা।
এবং যেসব তালগাছে তাল ধরেনা তাকে জটা তালগাছ বলে পরিচিত।এছাড়া জটাগাছ বা তাল ধরনী গাছ উভয় প্রকার গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে গাছি আনিছ উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,গরম যত বেশি হয় তাল গাছের রস তত বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রতিদিন নিজ উপজেলা মনিরামপুরের মশ্বিমনগরের চাকলা ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া দেয়াড়ার খোরদো বাজারস্থ ব্রিজ এবং বিভিন্ন্য সড়কের মোড়ে ওই রস প্রতি গ্লাস ৫ টাকা দরে বিক্রয় করে থাকেন।
গাছিদের প্রক্কাল সময়ে কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে,উপজেলার খোরদো চাকলা বর্ডার গার্ড ব্রিজে বিক্রয়ের তালরস মটরসাইকেল থামিয়ে পান করেন।তাদের অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পায়,এখানকার তাল রস ভেজাল মুক্ত,টাটকা এবং অত্যান্ত মিষ্টি ও সু-স্বাদু।
এছাড়াও একই এলাকার আরও কয়েকজন তালগাছীরা জানান,গরমের শুরুতে তালগাছ পরিষ্কার করে রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করে থাকেন।
একেকজন গননানুসারে_১৫-২৫-৩০টি করে তালগাছ চাষ করেছেন এবং বর্তমানে গড় মিলিয়ে ১৫-২০ টি গাছ থেকে রস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তারা।প্রতিটি তাল গাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ লিটার রস সংগ্রহ করে বিকেল ও সন্ধ্যাকালিন সময়ে বিভিন্ন বাজারে প্রতি গ্লাস রস ৫ টাকা দরে বিক্রয় করে থাকেন তারা।
প্রতিদিন সবমিলিয়ে প্রায় আনুমানিক এক থেকে দুই হাজার টাকার রস বিক্রয় হয়ে থাকে বলেও জানান গাছিরা।
স্থানীয় লোকজন ও বয়োজোষ্ঠ অনেকেই জানান,এই এলাকায় এক সময় তালের রসের খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তালের রস ও গুড়।
এছাড়া কয়েক বছর আগেও এলাকার বিভিন্ন ক্ষেতের আইলের পাশ-রাস্তার দুই ধারে ছিল অসংখ্য তালগাছ।তাল গাছ সারা বছর অযন্তে অবহেলায় পড়ে থাকলেও গ্রীষ্মের মৌসুমে কদর বেড়ে যায়।
অনেকাংশ তালের রস সু-স্বাধু ও মানব দেহের উপকারি এবং বেশি খেলে রাতে ঘুম ঘুম ভাব আসে।এবং এই গ্রীষ্ম মৌসুমে একবার পাওয়ার কারণে মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ওই তালের সু-স্বাধু রস।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন