খোরদো কপোতাক্ষ নদ খনন ও বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ
কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ানের খোরদো বাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হয়েছে কপোতাক্ষ নদী খনন এবং তারই উপর দিয়ে বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ।
কপোতাক্ষ নদীর দীর্ঘদিনের মৃত স্রোতকে পুনরায় জীবিত জৌবন ফেরাতে এটা তারই একটা প্রচেষ্টা। সেই সাথে কপোতাক্ষ নদীর চতুর্পাশের আবাদী ফসল ফলানো থেকে বঞ্চিত, অবহেলিত, গরিব দুঃখি অসহায়াত্বের মত পড়ে থাকা মানুষের জীবনে আবার নতুন করে সেই অপেক্ষায়মান চাষিদের চাষাবাদ করানোর জন্য এবং মুখে হাসি ফুটাতে নির্মিত হচ্ছে কপোতাক্ষ নদীর পাশ ঘেসে বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ।
দেয়াড়া ইউনিয়ানের খোরদো বাজার ব্রিজের নিজ হতে শুরু করা কপোতাক্ষ নদী খননের কাজ এবং বেড়িবাধ নির্মাণটি ছিল দীর্ঘদিনের প্রয়াস। কপোতাক্ষ নদীর গভীরতা কমে সৃষ্টিত জোয়ারভাটাহীন এবং মরা নদী।বাংলাদেশ নদী মাতৃকাচিহ্ন দেশের ভিতর কপোতাক্ষ নদও ছিলো একটি বানিজ্যিক ও ঐতিহ্যবাহী নদী।যে নদীর জলের প্রবাহ ও স্রোতের ধারা ছিলো বড়ই প্রকট! সর্বোচ্চ গতির ধারার অধিকারী ছিলো ঐতিহ্যবাহী নদ কপোতাক্ষ।জোয়ার ভাটা ছিলো অবিরত! যে নদীর কথা ভুলতে পারেননি এমনই একটা ব্যক্তিত্ব্য, যিনি সুদূর প্রবাসী হয়েও ছুটে চলে আসেন মাতৃকা নদ কপোতাক্ষের টানে! যার কথা বলতেই হয়! তিনি এই নদীকে নিয়ে অনেক কবিতা, উপন্যাসসহ অনেক লেখাই লিপিবদ্ধ করে হাজারো মানুষের মাঝে রেখে গেছেন! তিনি হলেন সনেট কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত! যে নদীকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতার ঝুড়ি! মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনেক স্মৃতি বীজড়ীত এই কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে।
এই নদীর বুক চিরে চলেছে হাজারো বানিজ্যিক জাহাজ, ট্রলার,বয়ে চলেছিল এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে স্টিমার!যেটা ঐতিহ্যবাহী নদের বিভিন্ন্য যায়গায় সৃষ্টি হয়েছিল ব্যবসায়িক বন্দর এবং বানিজ্যিক কেন্দ্র বাজার!তারই পাশ দিয়ে ভরে উঠেছিল চাষিদের হাতে ফলানো সবুজ শ্যামল ফসল। কিন্তূ দীর্ঘদিন কপোতাক্ষ নদী হারিয়ে ছিলো তার নাব্যতা, হারিয়ে গিয়েছিল কপোতাক্ষ নদীর দীর্ঘদিনের জৌবন!স্রোতের সেই কড়কড় আওয়াজ হারিয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদীর পাশে বসবাসরত জনগণ দীর্ঘদিন ছিলো বহু অপেক্ষায় কবে ফিরে পাবো নদীর বুকে জলের স্রোতধারা, কবে ফিরে আসে নদীর উপর দিয়ে চলে যাওয়া বানিজ্যিক জাহাজ, লঞ্চ, ট্রলার এবং বিভিন্ন্য ছোট ছোট বাদাম উড়ানো দৃষ্টি আকর্ষিক দৃশ্যমান নৌকার ঝাক! আবার কবে ফিরে পাবো কপোতাক্ষ নদীর ধার দিয়ে আবাদযোগ্য জমিতে ফসলের চাষ! এমনকি বিভিন্ন জায়গার নদী পথের ব্যবসায়ীক বনিকগনও বুক ভরা আসা নিয়ে বসে আছেন, যারা দীর্ঘদিনের নদী পথের ব্যবসায়ী এখন তাদের স্থান হয়েছে নিজস্ব অবস্থানে, অতিসামান্য কিছু ব্যবসার মধ্যে! যেটা করতে পারতেন সল্প ব্যয়ে কপোতাক্ষ ঘেরা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ব্যবসায়িক কাজ! যেটা নাকি করতে যানবাহনে ব্যবসায়িক কারবার খরচের মাত্রা বেশি বলেও আলোচনা করেন পুরাতন নদী পথ ব্যবসায়ী বণিকগন! নদী পথ ব্যবসায়ী বণিকগন ও কপোতাক্ষ নদীর পাশ দিয়ে বসবাসরত সকল গরিব চাষিদের মুখে চলতি আলোচনায় বোধগম্য হচ্ছে যেটা সেটাই আলোকপাত!
প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে দোলা দিচ্ছে আবার নতুন করে শুরু করবে তারা একটু চাষাবাদ জীবন যাপন! যতটুকু জমি আছে ততটুকু চাষাবাদ করে সংসারের সকল সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত খাওয়ানোর একটা প্রয়াস দেখা যায় মানুষের আলোচনার মাধ্যমে! খোরদো সংলগ্ন এলাকায় চলছে কপোতাক্ষ নদীর নাব্যতা, মরা নদীর মরা জৌবন ফেরাতে কপোতাক্ষ খনন ও বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ। তারই কাজের ধারা লক্ষ্য করে বসবাসরত কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষ যেনো ফিরে পেয়েছে যেনো এক অন্য রকম অনুভূতি! ফিরে পাবে নদীর হারানো যৌবন, এবং স্রোতকে পুনরায় জীবিত হবে বলে মনে করেন কপোতাক্ষ নদ ঘেরা সকল মানুষ।কিন্তূ চলমান কাজ কপোতাক্ষ খনন ও বেড়িবাধ নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হবে কিনা সন্দিহান মানুষ।
মানুষের আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে যে, বর্তমান সাফল্যমই আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে অনেক কাজ সংস্কার ও নির্মিত হয়েছে এবং চলমান আছে! তারই মধ্যে কপোতাক্ষ নদীর খননের কাজ বিভিন্ন্য যায়গায়ও হয়েছে, তারই ফলশ্রুতিতে শুরু হয়েছে কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ানের খোরদো কপোতাক্ষ নদ খনন ও বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ। কিন্তু এলাকার কিছু রাঘববোয়ালরা যেন প্রকৃতির অন্যতম শোভায়িত মনোরম পরিবেশ কপোতাক্ষ নদীর খনন ও বেড়িবাধের কাজকে ব্যহত করতে না পারে সে ব্যাপারে উপরিমহলের সুদৃষ্টি কামনায় সকল প্রকার কপোতাক্ষ নদীর ধার দিয়ে বসবাসরত সচেতন মানুষ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন