মূল নকশায় সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন মসজিদ সম্প্রসারণের দাবী
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন মসজিদে অধিক মুসুল্লির কথা ভেবে মসজিদ সম্প্রসারণে মূল নকশা অনুযায়ী করার দাবী মুসুল্লিদের। বর্তমানে যেভাবে মসজিদের ডিজাইন করা হয়েছে সে ডিজাইন অনুযায়ী আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অল্প জায়গার জন্য নামাজ আদায় করতে চরম দূর্ভোগে পড়বে মুসুল্লিবৃন্দ। সময় থাকতে মুসুল্লীদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে দ্রুত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় মুসুল্লী এবং পূর্বের ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
নির্মাণাধীন যে মসজিদটি হচ্ছে সেটিও মূল নকশা অনুযায়ী যদি না হয় একই দশা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মুসুল্লীরা।
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সূফি ও সাধক হযরত খানবাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ (রঃ) তার অন্যতম দর্শন ‘স্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্টের সেবা’’-এ আদর্শে ব্রতী হয়ে ১৯৪৮ ইং সালে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় মুসল্লিদের নিয়মিতভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ স্থাপন করা হয়। স্থানীয় মুসল্লিদের বর্ণনা মতে প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটিতে নিয়মিতভাবে জুম্মার জামাত আদায় হচ্ছে। দীর্ঘ পট পরিক্রমায় মিশন কর্তৃপক্ষ জীর্ণশীর্ণ মসজিদটি সহ প্রতিষ্ঠানের ভবনটি নতুনভাবে স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে লক্ষ্যে আর্কিটেকচার দ্বারা একটি মাল্টি কমপ্লেক্স নির্মাণের নকশা তৈরি করা হয়। গত ১১/০৯/১৭ ইং তারিখ মিশনের কার্যকরী কমিটির সভায় উক্ত নকশা অনুমোদন করা হয় এবং ২৫/০৯/১৭ ইং তারিখ থেকে মাল্টিকমপ্লেক্স এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
উক্ত কমপ্লেক্স এর প্লান অনুসারে কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় তলায় পূর্বের অবস্থিত মসজিদের অংশে ৪২´ ৬৯ ফুট আয়তনে মসজিদের মূল অংশ ও ২০.৯ ´ ১৬ ফুট আয়তনে মসজিদের বারান্দা স্থাপনের প্লান চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু প্রকৌশলী কর্তৃক সরবরাহকৃত মূল প্লান পরিবর্তন করে মসজিদের আয়তন কমিয়ে ৪১´ ৩৬ ফুট আয়তনে মসজিদ ও ২১´ ১৬ ফুট আয়তনে মসজিদের বারান্দা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যা নিয়মিত মুসল্লিদের জন্য দারুন কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে মিশন কর্তৃপক্ষ মসজিদের আয়তন কমিয়ে মসজিদের অংশের স্থাপনায় সুদের কারবারের ব্যাংক ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে দেনদবার করছেন। বর্তমানে নির্মাণাধীন মসজিদের স্থাপনায় সর্বোচ্চ ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ জন) মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অথচ বর্তমানে জুমুআর জামাতে আগত মুসল্লির সংখ্যা প্রায় তিনশতাধিক। জুমআর দিনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় দাঁড়িয়ে খুতবা শ্রবণ করতে দেখা যায়। আসছে মাহে রমজানে মুসল্লিদের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে স্থানীয় মুসল্লিগণ আশা ব্যক্ত করেছেন।
এমতাবস্থায় মিশনের সাধারণ সদস্য ও স্থানীয় মুসল্লিবৃন্দ দ্রুততম সময়ে মাল্টি কমপ্লেক্স এর মূল প্লান অনুযায়ী মসজিদ সম্প্রসারণ ও নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা মহোদয়ের নিকট আবেদন জানিয়েছেন। অধিক সংখ্যক মুসুল্লি এক সঙ্গে নামাজ পড়তে সেদিক বিবেচনা পূর্বক মূল প্লান অনুযায়ী মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় মুসুল্লি ও কমিটির নেতৃবৃন্দ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন