গয়েশ্বরের উপস্থিতিতে রাজশাহীতে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দফায় দফায় সংঘর্ষ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপস্থিতিতে দলের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনে এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে পৌনে ৫টার দিকে নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ এক কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে সংঘর্ষের মধ্যেও সমাবেশ শেষ হয়েছে। সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সমাবেশ শুরু হওয়ার পর যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের মঞ্চে উঠাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর কমিউনিটি সেন্টারের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং সাবেক সভাপতি ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে বুলবুলপন্থীর কয়েকজন কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় পুলিশ বিএনপির এক কর্মীকে আটক করে।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন গয়েশ্বয় চন্দ্র রায়। সমাবেশে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি করে সমাবেশ শেষ করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে সমাবেশের শেষ মুহুর্তে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও সংঘর্ষ বাধে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।
‘সুুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না’
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ এ আওয়ামী লীগের মধ্যে কাঁপন ধরে গেছে। তারা এখন পালাবার পথ খুঁজছে। আগামী দিনের সরকার হবে বিএনপির সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি ছাড়া এ দেশে আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, হতে দেওয়া হবে না। নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিবে না। এ জন্য আন্দোলনে নামতে হবে এবং রাজপথে আন্দোলন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
তিনি সোমবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরপাড়স্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এ প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিম, বিএনপির ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক আমিন- উর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, আবদুল আউয়াল খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইলিয়াছ পাটোয়ারী, বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বরুড়া পৌরসভার মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কামরুল হুদা, জেলা যুবদল সভাপতি ভিপি ওয়াসিম, মহানগর যুবদল সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ মোল্লা টিপু, জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রমুখ।
এটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য হুমকি : রিজভী
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য হুমকি মন্তব্য করে তার অপসারণ দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, সরকার এটর্নি জেনারেলকে দিয়ে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের ধামকি দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকারের রূপ ফুটে ওঠেছে। তারা যে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের জেল-জুলুমসহ মিথ্যা মামলায় নানাভাবে হয়রানি করছে তা প্রধান প্রধান আইন কর্মকর্তার হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়ে গেছে।
দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের যেকোনো স্বাধীনতা নেই সেকথা প্রধান বিচারপতি বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন। এমনকি দেশের সাধারণ নাগরিকরাও প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করেন। দেশের প্রতিটি মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার চায় না যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন