হালখাতায় মেয়েলি ঘটনায় মারামারি
কলারোয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে হালখাতার খাওয়া দাওয়া!!
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে হালখাতার খাওয়া দাওয়া!!
চলছে হালখাতার মৌসুম। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতার খাওয়া দাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে প্রায় সর্বত্র। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতার খাওয়া দাওয়া যদি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে, তবে সেটা বড়ই বেমানান। এমনই ঘটনা ঘটেছে কলারোয়ার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আর সেই হালখাতা মিষ্টান্নতে সীমাবদ্ধ নয় বরং রীতিমত মাংস ভাতের আয়োজন।
গত সোমবার সকাল থেকে চন্দনপুর হাইস্কুল চত্বরে চলছিল ডেকোরেটর দিয়ে রান্নাবান্নার আয়োজন। দুপুর থেকে গভীর রাত অবধি ওই স্কুলেরই শ্রেণিকক্ষে চলে বসিয়ে মাংস ভাতের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। খোজ নিয়ে জানা গেলো ওই খাওয়া দাওয়ার অায়োজনটি স্কুলের কোন অভ্যন্তরিন আয়োজন বা বিষয় নয় বরং এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতার খাওয়া দাওয়া।
চন্দনপুর হাইস্কুল সংলগ্ন গয়ড়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আবদুল গফফারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতায় ক্রেতাদের বসিয়ে মাংস ভাতের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় স্কুলটির শ্রেণিকক্ষে।
এখানেই শেষ নয়। গত সপ্তাহতেও একই ভাবে স্কুল চত্বরে রান্না করে ব্যবসায়ীক হালখাতার ভাত-মাংসের খাওয়া দাওয়া করানো হয় স্কুলটির শ্রেনিকক্ষে। সেই হালখাতার আয়োজন করেন গয়ড়া বাজারের আরেক মুদি ব্যবসায়ী ও আব্দুল আলিম।
ওই হালখাতার খাওয়া দাওয়ায় ভারত থেকে অবৈধপথে আনা কাটা মাংস যেটি অনেকাংশে পচে গিয়ে খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছিল সেই মাংস রান্নার প্রস্তুতি মুহুর্তে স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ওই পচা মাংস মাটিতে পুতে ফেলা হয়। তবু থেমে থাকেনি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে হালখাতার খাওয়া দাওয়ার আয়োজন।
এখানে উল্লেখ্য যে, দুই মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার ও আব্দুল আলিম চন্দনপুর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী শহর
ব্যবসায়ীক হালখাতা অনুষ্ঠানের ভাত-মাংসের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে করা হলো সেটি অনেকের বোধগম্য নয়। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে যেমন নাখোশ তেমনি প্রশ্ন উঠেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা নিয়েও। ‘হেড মাস্টার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলে কথা’- বিষয়টি নিয়ে এমনই মন্তব্য করছেন অনেকে।
ঘটনাটি এখানেই শেষ নয়। গত সোমবার ব্যবসায়ী আবদুল গফফাররে হালখাতার খাওয়া-দাওয়া স্কুলের শ্রেণিকক্ষে চলাকালীন সন্ধ্যার পরে কলারোয়া থেকে যাওয়া ক্যাটারিং গ্রুপের এক সদস্যের নারীঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু যুবকের সাথে কথা কাটাকাটির সময় উভয় পক্ষের সাথে লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শ্রেণিকক্ষে হালখাতার খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে চন্দনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী জানান- বর্তমানে স্কুলে গরমের ছুটি থাকায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শহর আলীর অনুরোধে তার দুই ভাই আব্দুল গফফার ও আব্দুল আলিমের দোকানের হালখাতার খাওয়া-দাওয়ার লক্ষে ঘন্টা দুয়েকের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। শহর আলী ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ায় ও তিনি অন্যান্য সদস্যের সাথে কথা বলায় খাওয়া-দাওয়া অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়। সকাল থেকে রান্নাবান্না ও গভীর রাত অবধি খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।
ওই হালখাতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কেও তিনি অবগত নন বলে প্রধান শিক্ষক আনছার আলী জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি জানান- ‘স্কুলটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, এজন্য প্রধান শিক্ষক দায়ী।’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেনো ব্যবসায়ী কর্মকান্ড চলবে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
কলারোয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান- ‘এ বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত নন।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন