বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম আর নেই
বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম আর নেই।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকালে মৃত্যু ঘটেছে তার।
মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, “আব্বু আর নেই।”
তরিকুলের বয়স হয়েছিলে ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
সন্ধ্যা ৭টায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজনরা দেখার পর রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ।
সোমবার সকাল ১০টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, ১১টা ১৫ মিনিটে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং বাদ আসর যশোর ঈদগাহ মাঠে তরিকুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যশোরে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে দলীয় কার্যক্রমে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শেষবার তিনি অংশ নেন গত ফেব্রুয়ারিতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে।
যাশোর থেকে চার বার নির্বাচনে জিতে সংসদে যাওয়া তরিকুল চারদলীয় জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি প্রথমে সমাজকল্যাণ এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি সহসভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
তরিকুলের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে। তার বাবা আব্দুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
তরিকুল ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন; বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পরও সক্রিয় ছিলেন বাম আন্দোলনে।
স্বাধীনতার পর মওলানা ভাসানীর দলে থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন তরিকুল। মৃত্যু পর্যন্ত এই দলেই ছিলেন।
তরিকুল যশোর থেকে প্রকাশিত লোকসমাজ সংবাদপত্রের প্রকাশক ছিলেন। যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
তরিকুলের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেও শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শোক জানিয়েছেন এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদও।
তরিকুলের মৃত্যুর খবরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবর পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বসুন্ধরায় অ্যাপোলো হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তিনি প্রয়াত নেতার স্ত্রী নার্গিস ইসলাম ও তার ছেলে সুমিত ও অমিতকে সান্ত্বনা জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও হাসপাতালে ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন