নতুন প্রস্তাব মমতার
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন হবে হাসিনা-মোদির বর্তমান সরকারের আমলেই। হায়দরাবাদ হাউসে মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে শনিবার এ কথা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পর কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যেই কি তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করার কথা বোঝাতে চাইছেন মোদি?
কারণ ২০১৯ সালের শুরুতে বাংলাদেশে এবং এর কয়েক মাস পর ভারতে জাতীয় নির্বাচন। যে তিস্তা চুক্তি গত ছয় বছর ধরে থমকে রয়েছে তা নিয়ে কীভাবে এতটা দৃঢ় সংকল্প হলেন মোদি, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা প্রসঙ্গে ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মমতা জানিয়েছেন, তিস্তার ওপরই শুধু নজর সীমাবদ্ধ না করে অন্য আন্তরাষ্ট্রীয় নদীগুলো থেকেও কীভাবে দুই দেশ শুষ্ক মৌসুমে সুবিধা পেতে পারে তা সামগ্রিকভাবে দেখা প্রয়োজন। তোরসা নিয়ে যৌথ সমীক্ষা করার প্রস্তাবও দিয়েছেন মমতা।
মমতার এ প্রস্তাব কেন্দ্র বা বাংলাদেশ কীভাবে দেখছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু সব মিলিয়ে মমতার নয়াদিল্লিতে উপস্থিতি অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মোদি তার বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আমি খুব খুশি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আমার অতিথি হিসেবে এসেছেন। আমি জানি যে বাংলাদেশের প্রতি তার মনোভাব আমার নিজের মনোভাবের মতোই উষ্ণ। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং ধারাবাহিক প্রয়াস জারি রয়েছে। ’
গতকাল সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগত নৈশভোজে রাষ্ট্রপতি ভবনের দ্বারকা স্যুটে গিয়েছেন মমতা। সঙ্গে শাড়ি এবং বিভিন্ন উপহার। রাত পর্যন্ত একান্ত আলাপচারিতাও করেছেন দুই নেত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের জন্যও শাড়ি নিয়ে গিয়েছেন মমতা।
পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন এটাই যথেষ্ট ইতিবাচক বিষয়। ’ এটা ঠিক যে চলতি সফরে তিস্তা চুক্তি সই হবে এমনটা আশা করেনি কোনো পক্ষ। কিন্তু তিস্তা চুক্তির খসড়া তৈরি হওয়ার পর গত ছয় বছরে হাসিনা-মমতার বৈঠকও এটাই প্রথম।
দুপুরে হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপক্ষীয় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি রেল ও বাস প্রকল্পের ভিডিও উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে মমতা আলাপচারিতা করেছেন। এ ছাড়া কথা বলেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোয়াজ্জেম আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও।
নরেন্দ্র মোদি তার বিবৃতিতে অবশ্য তিস্তা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদীই থেকেছেন। প্রথমে বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু নদী রয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত। এগুলোর মধ্যে তিস্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। তিস্তা ভারতের জন্য, বাংলাদেশের জন্য এবং দুই দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’
এর পরই তিনি হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একমাত্র আমার এবং আপনার এই সরকার তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির দ্রুত সমাধান করতে পারবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন