সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

উজানের ঢলে বাড়ছে তিস্তার পানি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত তিন দিনে নীলফামারীর ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ সেন্টিমিটার। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এই পয়েন্টে নতুনভাবে বিপদসীমার পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২.৬০ মিটার। রোববার তিস্তা নদীর প্রবাহ বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধির কারণে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

এদিকে পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার চরবেষ্টিত বিভিন্ন গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

তিস্তা অববাহিকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি মানেই উজানে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ২০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা সকাল ৯টায় আরও ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়।

সূত্রমতে, শনিবার এই পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ১০ মিটার ও গত শুক্রবার ৫১ দশমিক ৯৫ মিটারে পানি প্রবাহ ছিল। এছাড়া রোববার ডালিয়া পয়েন্টে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ মিলিমিটার।

তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পরিবেষ্টিত টেপাখাড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, নাউতারা, জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারীসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের বসবাসরত পরিবারগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্যা দেখা দেবে। আমরা সতর্ক রয়েছি।

তিনি জানান, এবার নতুন করে তিস্তা নদীর বিপদসীমার পরিমাপ (গেজ রিডার) বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সূত্র মতে, উজানে গজলডোবা ব্যারেজ নির্মাণের ফলে তিস্তা নদীর প্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। ফলে উজানের সামান্য ঢলেই তিস্তা নদী বিপদসীমা অতিক্রম করে থাকে। অথচ নদীর চর ডোবে না। তাই তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সর্বপ্রথম বিপদসীমার পরিমাপ (গেজ রিডার) ছিল ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। যা ২০০৭ সালে পরিবর্তন করে ৫২ দশমিক ৪০ মিটার বৃদ্ধি করা হয়।

এরপরও উজানের পানিতে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা বারবার বিপদসীমা অতিক্রম করতে থাকে। পরে ২০১৭ সালে ভারতের গজলডোবার জলকপাট উম্মুক্ত করে দেয়াসহ ভারী বর্ষণে উজানের ঢলে ৯৮ বছরের মধ্যে পলিতে ভরাট তিস্তা অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়।

সে সময় নদীর পানি বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটারের অতিক্রম করে ৫৩ দশমিক ০৫ মিটার অর্থাৎ ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তাই তিস্তা নদীর বিপদসীমা পরিমাপ সংখ্যাটি দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তন করে বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবে এবার পরিমাপের সংখ্যা করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী