কলারোয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেতের কুটির হস্তশিল্প
কলারোয়া উপজেলা থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের কুটির শিল্প। বর্তমান বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্লাস্টিকের পণ্যের জোয়ারে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার বাঁশ ও বেতের কুটির হস্তশিল্প।
উপজেলার কয়লা ইউনিয়নসহ দেয়াড়ার খোরদো ও পার্শ্ববর্তী ঋষিদের তৈরি এসব বাঁশ ও বেতের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা ছিল এক সময় আকাশচুম্বি বলে একাধিক ঋষিগন জানান। কিন্তু কালের পরিক্রমায় প্লাস্টিক সামগ্রীর কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছে গ্রামীণ সমাজের নিত্য প্রয়োজনীয় বাঁশ ও বেতের তৈরি সামগ্রী সমূহ। এতে করে এসব কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবাবরগুলোর আর্থিক দৈন্যতা বেড়েই চলেছে। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে বিলুপ্তির দারপ্রান্তে বাপ-দাদাদের হাতে গড়া শিল্পটি। আর এই শিল্পকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে এসব পরিবার। তবে জীবিকার তাগিদে আর্থিক সচ্ছলতার পিছনে ছুটতে যেয়ে তাদের অনেকেই বেছে নিয়েছে এখন অন্য পেশা।
উপজেলার শাকদাহ, গোয়ালচাতর, কাজিরহাট বাজার পার্শ্ববর্তী, কুশোডাঙ্গা এলাকা সংলগ্ন পাড়া, পাটুলিয়া কয়েকঘর, রায়টা, যুগিখালী, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনিরামপুর থানাধীন মশ্বিমনগরের পারখাজুরা, কাঁঠালতলাসহ খোরদো বাজারস্থ ঋষিগনের মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী টমাস রায় বলেন- দুনিয়ার সকল মানুষের লক্ষ্য উপরে ওঠার সেক্ষেত্রে আমরা বা কেন পিছিয়ে থাকবো। এই কাজে এখন আর তেমন ইনকাম হয় না। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পেশা নিয়ে সবাই ব্যস্ত।
উপজেলাধীন খোরদো ঋষি রতন দাস ও অন্যান্যরা জানান- বাঁশ ও বেতের তৈরি এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে কুলা, বেদেপাটির ন্যয় ধান রাখা চাচ/চাটাই, হাঁস-মুরগির খাঁচা, সাজি, ঢাকনা, চালনি, পালা, খাঁচা, মোড়া বেতের ধামা, চেয়ার, টেবিল, দোলনা, খারাই, পাখা, বই রাখার তাক,টাবরা, ঘুনি, ডালা ও ঝুড়ি। যেটা কিছু স্থায়ী দোকান হিসেবে কলারোয়ার ব্রিজের মুখেও দীর্ঘদিন ধরে বেচাবিক্রি হচ্ছে বলে দেখা যায়।
এদিকে উপজেলার খোরদোর টমাস রায় আরও বলেন- অনেকেই পৈতৃক ঐসব কাজ বাদ দিলেও অল্প অল্প করে বিভিন্ন যায়গা তল্লাশী করে ক্রয় করি ও অন্যান্য এলাকা থেকে কিছু কিছু ঋষিগন দোকানে এসে বিক্রি করে যায় এবং বাজারে একটা ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসাটা চালিয়ে যাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে বলে জানান তিনি।
তাছাড়া রতন দাসও ছোট একটা ঘর ভাড়া নিয়ে কমবেশি ব্যবসাটা একই ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। অনেকই দাবি করেন, সরকারি ভাবে তদারকি এবং সুযোগ সুবিধা পেলেই ফিরে আসবে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ঋষিদের কুটির হস্তশিল্পের কাজ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন