মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

কলারোয়ায় কলেজের পাশে ফসলী জমিতে ইটভাটা : নিষেধাজ্ঞার পরও চলছে কার্যক্রম!!

কলারোয়ায় উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে কৃষি জমি লিজ নিয়ে তৈরী অবৈধ ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩ বছর ভাটার কার্যক্রম চললেও নীরবতা পালন করছে সংশ্লিষ্টরা।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ- ‘মিতা ব্রিকস’ নামের ওই ইটভাটার মালিক ছলিমপুর গ্রামের মৃত, ছেপাতউল্লাহ সরদারের ছেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মিনহাজ উদ্দীন। তিনি রাজনৈতিক নেতাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যে কারনে উপজেলা প্রশাসনের নীরবতা এমনটি দাবি এলাকার মানুষের।

খোজ নিয়ে জানা গেছে- ২০১৫ সালে ৪০ বিঘা কৃষি জমি লিজ নিয়ে ভাটাটি নির্মান করা হয়। ভাটাটির পাশে (প্রায় ২০ গজ) রয়েছে বিশাল আয়তনের কৃষি জমি ও জনবসতি। সরকারের ইটভাটা নিয়ন্ত্রন আইনে (২০১৩) কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১কিলোমিটার এর মধ্যে ইটভাটা নির্মান অবৈধ হলেও ভাটাটি কলেজের প্রাচীর ঘেষে (১০ গজ) নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া ভাটা নির্মানের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামুলক হলেও সেটি নেই। ভাটায় অগ্নিসংযোগের আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লিখিত অনুমোতি নেওয়ার বাধ্যকতা থাকলেও এ ভাটার কোন অনুমোদন নেই। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মিত উপজেলা, ইউনিয়ন বা গ্রামীন সড়ক থেকে কমপক্ষে আধা কিলোমিটার দুরুত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হলেও মিতা ব্রিকসটি কলারোয়া-খোরদো সড়কের পাশে (রাস্তা সংলগ্ন) নির্মান করা হয়েছে।

হাজী নাছির উদ্দীন কলেজেরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান- যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তিন বছর যাবত গুরুতর অভিযোগ নিয়ে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া দু:খজনক। তিনি অবিলম্বে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রতি ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

ছলিমপুর গ্রামের খলিল সরদারের ছেলে মিঠু ও স্থানীয় কৃষকরা জানায়- প্রভাবশালী মিনাহজ উদ্দীন উপজেলার ছলিমপুর হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের সীমানা প্রাচীর ঘেষে ৪০ বিঘা ফসলী জমি কৃষকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়ে সেখানে ইটভাটা নির্মানের কাজ শুরু করেন। এসময় কলেজসহ এলাকার পরিবেশ রক্ষা, ফসলী জমি উদ্ধার, অবৈধ ইটভাটা নির্মান বন্ধের দাবিতে উপজেলা সদরে ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, অবিভাবক, স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসী মানবন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে কিন্তু অদৃশ্য কারনে ইটভাটা নির্মান বন্ধ করতে পারেনি। পরে অবৈধ মিতা ব্রিকস ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের শিক্ষক, অবিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকার কৃষকসহ ৯৯ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেন।

এঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় সরজমিনে ঘটনাস্থল তদন্ত করে গত ২০/৮/২০১৫ ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের সরহারি পরিচালক (প্রচার) মো: সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় মিতা ব্রিকস ইটভাটার মালিক মিনহাজ উদ্দীনকে অবৈধ নির্মান করা ভাটা অপসারন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

নির্দেশনায় আরো জানানো হয়- ইটভাটা অপসারন না করা হলে পরিবেশ সংরক্ষন আইনে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তিনি জানান- একই অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও অবৈধ ইটভাটা অপসারনের জন্য কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে ২০১৫ সালের ৩১ আগষ্ট মিনহাজ উদ্দীন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়ের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অবৈধ নির্মান করা ভাটা মিতা ব্রিকস অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে সরকারের আইন অনুযায়ী ভাটা নির্মান করবেন এবং উক্ত ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করার কথা উল্লেখ করে লিখিত মুচলেকা দেন।

তিনি জানান- মুচলেকা প্রদানের পর ২০/২৫ ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখে। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কতিপয়দের ম্যানেজ করে পুনরায় ভাটার কার্যক্রম শুরু করেন এবং বর্তমানে চলমান রয়েছে।

ছলিমপুর হাজী নাছির উদ্দীন কলেজেরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম জানান- কলেজের প্রাচীর ঘেষে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সচেতন এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে ভাটা অপসারনের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের নীরবতার কারনে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মিতা ব্রিকের মালিক মিনহাজ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। এসময় তিনি বলেন- আপনি রিপোর্ট করবেন না, আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই।

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান- এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি আপনার মাধ্যমে আজই জানতে পারলাম।

তিনি ভাটার বিষয়ে খোজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি

সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমন
  • কলারোয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
  • কলারোয়ায় ‘মিনা দিবস’ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
  • কলারোয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
  • কলারোয়ায় দলীলি সম্পত্তি জবরদখল ঠেকাতে সংবাদ সম্মেলন
  • ‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
  • কলারোয়ার বেত্রবতী হাইস্কুলে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ শীর্ষক স্মৃতিচারণ
  • কলারোয়ায় মন্দিরে মন্দিরে দূর্গাদেবীর আবির্ভাব ঘটাতে চলছে রং-তুলির আচঁড়
  • কলারোয়ার জয়নগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন
  • সংবাদ প্রকাশের পর আপডেট হলো কলারোয়া প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য
  • কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সভা অনু্ষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় ১নং সীমান্ত পিলার এলাকা পরিদর্শনে ভূমি দপ্তরের বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ কর্তারা