সহায়তার আবেদন
কলারোয়ায় ৩ মাসের শিশুর মাথা এতো বড়!! প্রতিবন্ধী পিতা ভাতা পাননি আজো
বয়স এখনো ৩ মাস হয়নি, তবু শিশুপুত্রের করুন আর্তনাদ আর শারীরিক অবস্থায় দিশেহারা তার পিতা-মাতা। শিশুটির শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রতঙ্গ স্বাভাবিক থাকলেও মাথাটি অস্বাভাবিক বড় ও ভারি। কোমলমতি শিশুটিকে দেখলে যে কারোরই মায়ার উদগ্রেব হবে। আর পিতাও শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও কপালে আজো জোটেনি ভাতা-সহায়তা।
কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম শাহপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান (২৯) ও লিমা খাতুন (২৬) দম্পতির কোলজুড়ে জন্মগ্রহণ গত ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর পুত্র আব্দুর রহমান। কলারোয়া উপজেলা সদরের সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে শিশুটি। জন্ম থেকেই ওই শিশুর শরীরের সকল অঙ্গপ্রতঙ্গ স্বাভাবিক থাকলেও মাথাটি অস্বাভাবিক ভাবে বৃহৎ ও ভারি। জন্মের পরপরই স্বজনরা শিশুটিকে কলারোয়াসহ সাতক্ষীরার কয়েকজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিকট নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন যে, ওই শিশুর মাথার ভিতর পানি রয়েছে, যার কারণে মাথাটি শরীরের তুলনায় অনেক বড়। উন্নত চিকিৎসা ও অপারেশন করতে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এজন্য প্রায় ৪লাখ টাকার প্রয়োজন।
শিশুটির পিতা অসহায় মিজানুর রহমান জানান- ‘তিনি নিজে-ই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। ইঞ্জিনভ্যান চালিয়ে কোনরকমে সংসার চালান। ভিটেবাড়ির ৩ কাঠা জমি ছাড়া তার কোন সম্পদ নেই। সাড়ে ৪বছরের মেয়ে তুলি খাতুনের পর গত বছরের শেষের দিকে পুত্র সন্তান হয় তাদের। সখ করে নাম রাখেন আব্দুর রহমান। জন্ম থেকেই মাথা অস্বাভাবিক বড় হওয়ায় শিশু চিকিৎসদের শরানপন্ন হয়েছি। তবে এর জন্য অপারেশন করতে হবে ঢাকায় গিয়ে। লাগবে অনেক টাকা। যেটা আমার সামর্থের বাইরে।’
তিনি আরো জানান- ‘নিজে প্রতিবন্ধী হওয়ার দরুন গত ৩১/১০/২০১৬ইং তারিখে সমাজসেবা অফিস কর্তৃক ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিচয়পত্র’ পেলেও আজো পর্যন্ত কোন ভাতা বা সহযোগিতা পাইনি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও জোটেনি কোন সহায়তার কার্ড।’
শিশুটির মাতা লিমা খাতুন জানান- ‘জন্মের পর থেকেই আমার ছেলেটি প্রতিদিন মাঝেমধ্যেই প্রচন্ড কেঁদে ওঠে ও ছটফট করে। ঘুমিয়ে পড়লেও চোখের পাতা বন্ধ হয় না, চোখ সবসময় খোলা থাকে। ওর মাথা যন্ত্রণা ও ব্যথা করলে এমনটা করে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন- ‘টাকার অভাবে আমরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করাচ্ছি। তবে এখনো কোন উপকার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।’
চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা দূ:সাধ্য হয়ে পড়েছে শিশুটির পিতা-মাতার। তাঁরা সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। শিশুটির পিতা মিজানুর রহমান তাঁর বিকাশ একাউন্ট করা মোবাইল নং ০১৭৮০-৮৩৪৭৭৫ তে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি ভাতা-সহযোগিতা পাবার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিচয়পত্র পেলেও এখনো কোন ভাতা না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলার ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান- ‘উপজেলা থেকে সকল প্রতিবন্ধীদের তালিকা ও ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে আমার ইউনিয়নে ৫টি প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছি। আশা করছি আগামি অর্থবছরের নতুন তালিকায় তার নাম সংযুক্ত করা যাবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ ফারুক হোসেন জানান- ‘প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র পেলেই যে ভাতা পাবেন এমন কোন কথা নেই। এটি মুলত দেশের প্রতিবন্ধীদের একটি পরিচিতি। প্রতিবন্ধী প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মেম্বর চেয়ারম্যানদের শরনাপন্ন হতে হবে। তা না হলে আমাদের কাছে আসলে বিষয়টি আমরাও দেখতে পারি।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন