বিডিআর বিদ্রোহ : শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার বিচার
বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) বিদ্রোহের নয় বছর পূর্ণ হলো আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্ব কমানো, বেতন বৈষম্য কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বিডিআর জওয়ানরা। এতে নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা মামলার রায় দেওয়া হয়। সাজা পান দোষী ব্যক্তিরা। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলার ব্চিার দীর্ঘ নয় বছরেও শেষ করা যায়নি।
এ বিষয়ে একাধিক আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৮১০ জন। এর মধ্যে ২০ জন পলাতক। বাকি ৭৯০ জন আসামি কারাগারে আটক রয়েছেন। আইনজীবী জানান, মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা দিন নির্ধারণ করেছেন।
ফারুক আহম্মেদ জানান, হত্যা মামলায় বিচার শেষ হয়েছে। হাইকোর্টেও তা নিষ্পত্তি হয়েছে। হত্যা মামলা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় একই সাক্ষী। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ২৭৮ জন খালাস পেয়েছেন। কিন্তু ওই আসামিরা বিস্ফোরক মামলায় আটক থাকায় তারা মুক্তি পাননি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আরো জানান, বিস্ফোরক মামলায় বেশ কয়েকবার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেছে। কিন্তু আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান। মামলার ৮৫০ আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। এ ছাড়া ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অস্ত্র লুটের দায়ে তাদের আরো ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২৫৬ আসামির ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। আর অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান ২৭৭ জন। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত ২৩ আসামি এখনো পলাতক।
এ দিকে, আসামিরা সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা করে ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
রায়ে আদালত আট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
রায়ে হাইকোর্ট ১৪৬ জন আসামির যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন, ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ৪১ জনকে খালাস দিয়েছেন।
এ ছাড়া ২৮ জন আসামি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেননি। এ ছাড়া ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমতি চেয়ে আবেদন) ও আপিলের শুনানি চলাকালে তিনজনের মৃত্যু হয়।
২০১০ সালে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল কাহার আকন্দ দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পরে ২০১১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন