প্রশ্ন ফাঁসের ৬টি বড় কারণ তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
২০১৯ সালে নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নতুন পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। ২০১৯ সাল থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে চলতি বছরের ২ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠেয় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা বর্তমান পদ্ধতিতেই হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, আমরা যে কোনো পদ্ধতিতে যাই না কেন, তার জন্য নতুন একটি প্রশ্নব্যাংক বানাতে হবে। এজন্য তিন থেকে চারমাস সময় লাগবে। সুতরাং, এইচএসসি পরীক্ষা ধরতে পারছি না। তাই এবার সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়ে গেছে। নতুন কোনো পদ্ধতি আগামী এইচএসসি পরীক্ষার আগে নেওয়ার সময় নেই।
তিনি বলেন, আশা করছি ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষা থেকে নতুন কোনো ব্যবস্থা অবশ্যই সরকার নেবে। সেজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রস্তাব অনেকেই করেছেন। অনেকগুলো প্রস্তাব আমাদের হাতে রয়েছে। তবে একটি প্রশ্নব্যাংক তৈরির বিষয়ে সবাই একমত। আমি অনেক আগেই বলেছি এমসিকিউ যে প্রক্রিয়ায় বন্ধ করতে হয় সে প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।
সচিব বলেন, চলমান পরীক্ষার পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আরও কিছু করার আছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে মূল উদ্দেশ্যে পরীক্ষা শেষ করা। গত তিনদিনের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। আশা করছি বাকি পরীক্ষাগুলোও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করতে আর কি করণীয় আছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্র: বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রশ্ন ফাঁসের ৬টি বড় কারণ তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণে মঙ্গলবার বিকালে দুই মন্ত্রী এবং ছয় সচিবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২ ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৈঠকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে লিখিত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে হলে এর উৎস এবং পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতির ত্রুটিসমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওই পর্যবেক্ষণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ৬টি বড় ক্ষেত্রের কথা বলা হয়। সেগুলো হলো।
১. বিজি প্রেসে প্রশ্ন কম্পোজ এডিট, প্রিন্ট ও প্যাকেজিং পর্যায়ে প্রায় ২৫০ জনের মতে কর্মী প্রশ্ন দেখতে পারে। তারা প্রশ্ন কপি করতে না পারলেও তার স্মৃতিতে ধারণ করা অসম্ভব ব্যাপার নয়। তিন/চারজনের একটি পুরো গ্রুপের পক্ষে এভাবে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হতে পারে।
২. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে প্রশ্ন গ্রহণ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
৩. অতিরিক্ত কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ব্যবস্থাপনা করার মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই। তাছাড়া ভেন্যুগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত। ফলে ৩০ মিনিট সময়ের অধিক পূর্বে কেন্দ্র সচিবরা প্রশ্ন খুলতে বাধ্য হচ্ছেন।
৪. পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। গুটিকয়েক শিক্ষক-কর্মচারীর কারণে গোটা প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস কারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরা তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এটা পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্ব হতে করা সম্ভব হলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার লোকবল, অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কারণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নজরদাবি করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে প্রতীয়মান হয়। দুষ্কৃতকারীদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার ও শস্তির প্রদান করতে না পারায় অন্যরাও অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না।
৬. বিটিআরসি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আপলোডকারীদের চিহ্নিত করতে দেখা যাচ্ছে না এবং সন্দেহজনক একাউন্ট বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন