গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি ও খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা
নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রোববার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনাকালে গণফোরাম ৯-দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
অন্যদিকে, গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৮-দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দলটির ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ‘যোগ্যতাকে প্রাধান্য’ দিতে পাঁচ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়।
গণফোরাম ৪৫ মিনিটব্যাপী আলোচনাকালে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুসারে একটি আইন প্রনয়নের প্রস্তাব দেয়।
রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আলোচনাকে গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে গণফোরাম নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য আলোচনাকে অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যেকোন সমস্যার আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব।
তারা আশা প্রকাশ করেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সক্ষম হবেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিকদলগুলো এ ব্যাপারে সর্বত্মক প্রয়াস চালাবে।
গণতন্ত্রী পার্টি : দলের সভাপতি ব্যারিস্টার আরোশ আলীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের গনতন্ত্রী পার্টি (জিপি)-র প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগে সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন প্রনয়নের প্রস্তাব করে যাতে আইন অনুযায়ী একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের বিধান থাকবে। এর বিকল্প হিসেবে দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে একটি সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের এবং কমিটি ও কমিশনে একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়।
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে ৪০ মিনিটের সাক্ষাৎকালে দলটি আট দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
আবদুল হামিদ আগামী ইসি গঠনের জন্য তাদের গঠনমূলক প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান।
খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ
নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৩০ মিনিটের সাক্ষাৎকালে পার্টির চেয়ারম্যান শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফিজ্জি হুজুরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি আট দফা প্রস্তাব পেশসহ ইসি গঠনে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করে।
রাষ্ট্রপতিকে দেশের অভিভাবক উল্লেখ করে খেলাফত আন্দোলন নেতা এবং আশা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একটি গুণগত পরিবর্তনের জন্য চলমান আলোচনার দরজা খোলা থাকবে।
আবদুল হামিদ বলেন, রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য।
রাষ্ট্রপতির সংশিষ্ট সচিবগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচনা হয়।
বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে। কাজেই রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সংলাপের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন