পড়ুন ইংরেজিতেও...
শ্যামনগরে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ, সুন্দরবনের পর্যটক যাত্রীদের ভোগান্তি
ছয়দিন ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন দেশের কোনো স্থানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে দেশের অন্য স্থান থেকে কোনো যাত্রীবাহি পরিবহন সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরেও আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
আন্ত: জেলার যাত্রী (লোকাল) দূরপাল্লার পরিবহনে নেওয়ার অজুহাতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে সুন্দরবনগামী পর্যটকসহ দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
ইতোমধ্যে প্রতিকার চেয়ে শ্যামনগর দূরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন কাউন্টার সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা জিএম শফিউল আযম লেনিন জানান- শ্যামনগর দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম উপজেলা। এ উপজেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসে সুন্দরবনে ভ্রমণে। আবার চিংড়ি আমাদানি-রপ্তানি ছাড়াও মধু চাষের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ এ উপজেলায় যাতায়াত করে। কিন্তু গত বুধবার থেকে শ্যামনগর থেকে কোনো দূরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন দেশের কোনো স্থানে যাচ্ছে না। আবার সাতক্ষীরা থেকে কোনো দূরপাল্লার শ্যামনগরে আসছে না। কিন্তু হঠাৎ করে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা যারপর নেই সমস্যায় পড়েছে।
শ্যামনগর দূরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন কাউন্টার সমিতির সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম জানান- শ্যামনগরে প্রতিদিন ২৩টি যাত্রীবাহি দূরপাল্লার পরিবহন যাতায়াত করে। এসব পরিবহনের ৫৪টি টিপে মানুষ ঢাকা, পাবনা, রাজশাহী, সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়ায় চলাচল করে থাকে।
গত ১১ ফেব্র“য়ারি কালিগঞ্জ বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন মালিকদের বলা হয় ১৩ ফেব্র“য়ারি মধ্যে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর সড়কের (ভায়া কালিগঞ্জ) চলাচলের অনুমতিপত্র তাদের কাছে জমা দিতে। নাহলে ১৪ ফেব্র“য়ারি থেকে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর সড়কে দূলপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। মালিকরা অনুমতিপত্র না দেখানোয় ১৪ ফেব্র“য়ারি সকাল থেকে শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরাগামী ও সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরগামী সকল পরিবহনের যাত্রী কালিগঞ্জে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। তারপর থেকে সকল দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের সমস্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছে।
এমনকি ঢাকা, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকা শ্যামনগরে বা কালিগঞ্জে আসতে পারছে না।
একে ট্রভেসের মালিক তহমিন সায়েদ ও এসপি গোল্ডেন লাইনের মালিক জুনায়েত হোসেন লস্কর জানান, তাদের সাতক্ষীরা যাত্রীবাহি পরিবহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অনুমতিপত্র আছে কি নেই তা দেখার দায়িত্ব বিআরটিএ এর। মালিক সমিতির নয়। তাছাড়া তাদের বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির চিঠি দিতেও পারেন না। ওই সড়কে গাড়ি চালাচলে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কে নেবে দায়িত্ব। ফলে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর ও শ্যামনগর-সাতক্ষীরায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
কালিগঞ্জ বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, শ্যামনগর থেকে দূরপাল্লার গাড়িতে আন্ত:জেলা (লোকাল যাত্রী) যাত্রী বহন করা হয়। ফলে তাদের আন্ত: জেলা বাসে যাত্রী কম হয়। তাদের পড়তে হয় লোকসানে। লোকাল যাত্রী না নেওয়ায় জন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা যাত্রী নেওয়া বন্ধ না করায় দূলপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন জানান, কালিগঞ্জ বাস, মালিক সমিতি কোনো অবস্থায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ করে দিতে পারেন না। কোনো সমস্যা থাকলে তাদের জানতে পারে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো: মহিউদ্দিন জানান- যাত্রীদের হয়রানি করতে কেউ পারবে না, কিম্বা গাড়ি বন্ধ রাখতে বাধ্য করা যাবে না। তিনি কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরের নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি সুরাহার উদ্যোগ নেবেন।
Shyamnagar shuttle bus stop, Sunderbans tourists suffer from suffering
For long time, long distance passengers from Shyamnagar adjacent to the Sundarbans are not allowed to go anywhere in the country. Likewise, the passenger movement of Satkhira from Shyamnagar is not allowed to come from other parts of the country.
Kaliganj bus of Satkhira, Minibus Owners Association has been forced to stop passenger traffic due to long-distance passengers of the inter-district passenger (local). As a result, there is no end to the suffering of long-distance passengers, including the Sunderbansur tourists.
Meanwhile, a letter has been sent to the offices of Deputy Commissioners, Upazila Nirbahi Officer, Police Super, Local Press Club and others on behalf of Shyamnagar Tele-Traffic Passenger Transport Counter Association.
Shyamnagar Awami League leader GM Shafiul Azam Lenin said Shyamnagar is an important and largest upazila of the country. Every thousands of people visit Sundarbans every day in this upazila. Besides, in addition to shrimp amara-export, a large number of people visit this upazila for the cultivation of honey. But no long-distance passenger movement from Shyamnagar has been going on any place in the country since last Wednesday. Satkhira is not coming to Shyamnagar for a long distance. But suddenly the passengers were unable to stop due to the closure of long-distance transport.
Shyamnagar Long Term Traffic Counter Association President Md Rafiqul Islam said that in Shyamnagar, 23 passengers traveled on long-distance buses daily. People used to carry 54 copies of these transport to Dhaka, Pabna, Rajshahi, Sylhet, Cox’s Bazar, Chittagong, Barisal, Patuakhali, Rangpur, Dinajpur and Bogra.
On February 11, Kaliganj bus, Minibus Owners’ Association General Secretary Afsar Ali signed a letter addressing the passengers of the long distance journey. They said that on February 13, Satyakshi to submit the permit for movement of Shyamnagar road (Vayya Kaliganj). Otherwise, the passenger movement will be stopped from Satkhira on Shyamnagar road from Feb 14. On 14 February, the owners of Satyakshmi and Satkhira from Shyamnagar and all transport vehicles of Shyamnagar were brought back to Kaliganj and sent back to their cars. Since then all the long distance transport has been closed. As a result of the passenger problems, more than 200 workers have become unemployed.
Even some daily newspapers published from Dhaka, Jessore, Khulna and Satkhira could not come to Shyamnagar or Kaliganj.
Owner of the traffic, Taheemin Sayeed and owner of SP Golden Line, Junayet Hossain Lashkar, said they were allowed to transport their Satkhira passenger. It is the duty of the BRTA to see whether there is a permit or not. The owner is not the association. Besides, they can not even give their bus, Minibus Owners’ Association letter. Who will take responsibility for any kind of unpleasant incident on the road. As a result, the movement of vehicles in Satkhira-Shyamnagar and Shyamnagar-Satkhira has been closed.
Kaliganj buses, president of Minibus Malik Association and chairman of Upazila Parishad Sheikh Waheeduzzaman said passengers from Inter-district (local passenger) were transported in a long-distance vehicle from Shyamnagar. As a result, the passenger on their inter-district buses is less. They have to read losses. They were given their letters for not taking local passengers. But they were forced to stop transporting the passenger passengers because they did not stop taking passengers.
Satkhira BRTA Assistant Director Tanvir Hossain said, Kaliganj bus and owner association can not stop long-distance passengers in any situation. They can know if there is a problem. Action will be taken after discussion with the Deputy Commissioner.
Satkhira Deputy Commissioner Abul Kashem Md. Mohiuddin said that nobody can harass passengers, or the cars can not be forced to stop. He will take initiatives to resolve the matter quickly with discussions with the executive officers and officials of Kaliganj and Shyamnagar.
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন