উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন
‘কমিশনের গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না’ : দাবি ইসি সচিবের
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচন আইনি জটিলতার কারণে স্থগিত হওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের কোনো গাফিলতি ছিলনা বলে দাবি করেছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের শেষে তিনি এ দাবি করেন।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন- বুধবার হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন তা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ওনারা বলেছেন, হাইকোর্টের এই আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ৩ মাসের জন্য একইভাবে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
আদেশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থায় যাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন- আমরা এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আদেশ পাইনি। আমরা শুধু মিডিয়ার মাধ্যমে এবং উকিল প্রত্যায়নের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। যখন আদেশটি হাতে পাব আমরা নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করব।
নির্বাচন কমিশন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। কোন বিষয়গুলোতে নির্বাচন আটকে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- কোন কোনে জায়গায়, কোন বিষয়ের ওপর হাইকোর্ট ওনাদের অবজারভেশনের আলোকে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সেটা আমরা জানতে পারিনি। উকিল নোটিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই উপনির্বাচন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে তিন মাসের জন্য।
জটিলতা নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেনি ইসি-স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন- সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে জাতীয় নির্বাচন ইসি নিজেরাই পরিচালনা করে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কোনটা করব কোনটা করব না। সেক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ পাওয়া পরেই কিন্তু নির্বাচনের কাজে হাত দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছে। হাইকোর্ট কোন বিষয়ের ওপর আদেশ দিয়েছে তা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে কোনো ত্রুটি দেখিয়ে দিয়েছে কিনা যেগুলোর কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে?- জানতে চাইলে সচিব বলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ পাওয়ার পরে এই বিষয়ে কোনো পত্র যোগাযোগ হয়নি। সাধারণত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যখন কোনো অনুরোধপত্র পাঠান তখন আইনের বিষয়গুলো দেখার জন্য তাদের আইন অনুবিভাগ রয়েছে। ওখানে আইন অনুবিভাগের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে কিন্তু আমাদের চিঠি পাঠিয়েছে। কোন জায়গায় বিষয়গুলি হাইকোর্ট ত্রুটিগুলো ধরেছে আদেশ পাওয়া পরে আমরা বুঝতে পারব। যথেষ্ট আলোচনা না করেই তফসিল ঘোষণা হয়েছে এবং এর দায় কমিশন নেবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আদেশটা পাওয়ার পরে মন্তব্য করতে পারব। আমাদের গাফিলতির প্রশ্ন উঠেই না।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ১৭ তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপর চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন