মৃত্যু হলেও হাসিমুখে বরণ করে নেব: নন-এমপিও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা
টানা ছয় দিন অবস্থান কর্মসূচি শেষে আজ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি চলছে রোববার বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে দেখা যায়, শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাত ও রাস্তার কিছুটা অংশজুড়ে বসে অনশন পালন করছেন। অনেকের হাতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের নেতা গোলাম মাহমুদুন্নবী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। মৃত্যু হলেও হাসিমুখে বরণ করে নেব। কারণ, এভাবে বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।’ এর আগে শনিবার তিনি বলেছিলেন, তাঁদের একটাই দাবি—সেটা হলো সরকারস্বীকৃত ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। দেশের সরকার স্বীকৃত সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন এসব শিক্ষক। অনশনে উপস্থিত কম-বেশি সবার বক্তব্যই এ ধরনের। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি চলছে। গত শুক্রবার ফেডারেশনের নেতারা বৈঠক করে আজ থেকে অনশন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ দেওয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হয়। আর যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না। এগুলোকে সংক্ষেপে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হয়। বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী ৪ লাখের বেশি। এর বাইরে স্বীকৃতি পেলেও নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।
সাতক্ষীরা থেকে আসা আন্দোলনরত এক শিক্ষক আমাদের কলারোয়া নিউজ.কম কে জানান, দিনের পর দিন মাসের পর মাস, বছর পর বছর নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অনাহারে জীবন যাপন করছেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া দিক থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে, না পাচ্ছে তারা ভাল জামা-কাপড়, না পাচ্ছে তারা উন্নত লেখাপড়ার পরিবেশ। অনেক শিক্ষকের বয়স ৫০-৫৫ বছর হয়ে গেছে। তারা আর কয় দিন বা শিক্ষকতা করতে পারবেন। বছর পর বছর তাদের এই করুণ অবস্থা দেখে মাননীয় সরকার কেন চুপচাপ আছেন? তাদের যদি অধৈক বেতন দিয়ে এমপিও করে দেন তাহলে তারা বাচবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন তিনি যেন খুব শীঘ্রই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করে দেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন