স্বাভাবিক সম্পর্ক রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান: প্রধানমন্ত্রী
সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন- ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের জোর সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছে। আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা আরও বলেন- ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন করতে বাংলাদেশ একটি খসড়া হস্তান্তর করেছে। এটি নিয়ে দুই দেশই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সোচ্চার হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আনা হয়েছে। অসহনীয় নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গঠন ও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জোর প্রচেষ্টা চালানোর ফলেই রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে আজ বিশ্ব জনমত গঠিত হয়েছে।’
সংরক্ষিত আসনের সেলিনা জাহান লিটার এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন- ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন- ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া ছিল আমাদের অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ কারণে বাংলাদেশের নাম আজ বিশ্বনেতাদের কণ্ঠে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করাসহ এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছি। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বনেতারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী জানান- দৈনিক গড়ে ১১ হাজার মিয়ানমারের নাগরিকের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে। গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬০ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ জানান।
সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘এ বছরের বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও সামগ্রিক খাদ্যশস্য উৎপাদনে তেমন ঘাটতি হবে না। খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন