সাতক্ষীরায় সুশিলন স্বপ্ন প্রকল্পে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ॥ দোষ নিচ্ছেন না কেউই
সাতক্ষীরায় সুশিলন স্বপ্নপূরণ প্রকল্পের শ্রমিক নিয়োগে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকাবাসী উপজেলা সুশিলনসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, সুশিলন স্বপ্নপূরণ প্রকল্পে প্রার্থী নির্বাচনে প্রার্থীকে ১৮-৫০ বছর বয়সী ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতে হবে। নিন্ম আয়ের যেমন, জীবন ধারণে বাধ্যতামূলক ভিক্ষা কিংবা অসহায় অবস্থা সম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে পরিবার প্রধান হিসেবে বিধাবা, তালাকপ্রাপ্তা, স্বামী পরিত্যক্তা, দুস্থ মহিলা যার স্বামী উপার্জনে অক্ষম বা শারীরীক বা মানসিক প্রতিবন্ধি হতে হবে। প্রার্থী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সংস্থানে অক্ষম প্রকৃতির হতে হবে। বিধাব বা তালাক প্রাপ্তা যাদেও উপর ছেলে-মেয়েদেও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব রয়েছে তাদেও অগ্রাধিকার দেতয়ডা হবে। এছাড়া প্রার্থীকে অবশ্যই মানসিকভাবে সুস্থ ও সরকারি সম্পদ যেমন রাস্তাঘাট রক্ষানবেক্ষনের জন্য শারীরীক সামর্থেও অধিকারী হতে হবে।
এছাড়া শ্রমিক নির্বাচনেও রয়েছে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ঢোল সহরত, মাইকের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে উপকারভোগী নির্বাচনের দিন, সময় ও স্থান জানিয়ে দিতে হবে। সকল শর্ত মেনে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে অন্তঃত ১০ জন করে ইউনিয়ন থেকে অন্তঃত ৯০ জন সম্ভাব্য উপকারভোগীদের প্রাথমিকভাবে বাছাই করতে হবে। পরিষদের চেয়ারম্যন ও মেম্বরগণ উপকারভোগী সহ এলাকাবাসীর উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে অন্তত ৩৬ জন উপকার ভোগী নির্বাচন করবেন।
এদিকে প্রার্থী নির্বাচনে এতকিছু কড়াকড়ি থাকলেও সাতক্ষীরার তালা উপজেলা খেশরা ইউনিয়নের খেশরা গ্রামের আজিজুল গাজীর স্ত্রী শাহানারা, অরবিন্দু দাশের স্ত্রী মালু দাসী, ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর শাহাজাতপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মরিয়াম বেগম, আ. হালিম গাজীর স্ত্রী শাহানার, রবিউল শেখের স্ত্রী স্বরবানু, ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শাহাজাতপুর গ্রামের কৃষ্ণ মন্ডলের স্ত্রী রাধা মন্ডলসহ অন্যান্যদের অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে এনিয়ে প্রায়ই আসছে এমনতর অভিযোগ। তাদের অভিযোগ, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে শ্রমিক নিয়োগে দূর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুশিলন স্বপ্ন প্রকল্পের মাঠকর্মী রেশমা খাতুনের নিকট জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আ. গণি’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টিতে তার কোন হাত নেই। যা কিছু তা সব ঐ এনজিও কর্মীদের যোগসাজশেই হয়েছে। পক্ষান্তরে কর্মীরা বলছেন জনপ্রতিনিধিরা নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যে নিরীহ এলাকাবাসীরাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এমনটি মনে করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন