এবার খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের পেছনে পেট্রোলবোমা হামলা
ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে যে বোমা হামলা করা হয়েছে তাতে ব্যবহার করা হয়েছে পেট্রলবোমা। এই হামলায় বাসদুটিতে আগুন ধরে গেলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফিরছিলেন খালেদা জিয়া। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফেনীর মহীপালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনীর মহীপালের ফ্লাইওভার এলাকা অতিক্রম করার কয়েক মিনিট পর সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে বাস দুটি আগুন ধরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। এর আগেই বাস থেকে নেমে যায় যাত্রীরা। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফেনী জেলা বিএনপির সহ.সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান- সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়। তবে ছাত্রদলের কঠোর অবস্থানের কারণে এই হামলা সফল হয়নি। এ ঘটনাটি সরকার দলীয়দের পূর্বপরিকল্পিত বলেও দাবি করেন তিনি।
ত্রাণ বিতরণ শেষে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফেনীর মহিপাল অতিক্রম করার সময় দুটি বাসে পেট্রলবোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফেনীর মহিপাল ৬ লেন ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- হামলার পর নেতাকর্মীরা দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। তবে খালেদা জিয়ার গাড়িটি নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গাড়ি বহরে শত শত মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ছিল।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বারবার ফোন করা হলে তারা রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলার বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান- খালেদা জিয়ার গাড়ি মহিপাল ফিলিং স্টেশন পার হওয়ার পর পরই দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দুটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ঘটনাটি সরকারি দল ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান- এটি বিএনপির পুরোনো অভ্যাস। তারা একটি পিনিক সৃষ্টি করে দায় আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। সকাল থেকে পুরো সড়কের কোথায়ও আওয়ামী লীগের কোন কর্মীই ছিল না। পুলিশকে বলেছি ঘটনা তদন্ত করে খুব জলদি জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে।
ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান- যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা দুষ্কৃতকারী। এই মুহূর্তে বলা যাবে না কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে দুটি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে।
বাস দুটি রং সাইডে পার্কিং করা ছিল। তবে এতে চালক ও হেলপার কেউ আহত হয়নি। ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পরপর ছাত্রদল, যুবদল রড ও লাঠি হাতে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতেই হামলার শিকার হয় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। ফেনী শহরের কাছে ফতেপুরে মোহাম্মদ আল বাজার পার হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা গণমাধ্যমের গাড়িসহ ১৫-১৬টি গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। হামলায় ১১ জন সাংবাদিকসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন