মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

ছয় সিটিতে ইসির ভোট প্রস্তুতি শুরু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছয় সিটি করপোরেশনের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও প্রার্থীদের পাশাপাশি ইসিও তফসিল ঘোষণার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। রংপুর সিটি দিয়ে ছয় সিটিতে ভোটের হাওয়া শুরু হবে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার কমিশন সভায় রংপুর সিটি ভোটের কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন হবে বলে জানিয়েছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন- ডিসেম্বরের শেষার্ধে রংপুর সিটির ভোটের পরিকল্পনা রয়েছে। নভেম্বরের প্রথমভাবে তফসিল ঘোষণা করতে পারে কমিশন।
তিনি আরো বলেন, রংপুর সিটির একটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির। যেসব ইভিএমগুলো ভালো আছে, সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রংপুর সিটিতে ব্যবহার করা হবে।

# ডিসেম্বরের শেষার্ধে রংপুরে ভোট, নভেম্বরের প্রথমভাগে তফসিল
# একটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত কমিশনের
# মে থেকে জুন মাসের মধ্যে পাঁচ সিটিতে ভোটের চিন্তা

গত ১৬ জুলাই ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের কাউন-ডাউন শুরু হবে। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবকতা রয়েছে। তাই সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখতে চায় ইসি। বিশেষ করে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে স্থানীয় সরকারের বড় বড় নির্বাচনগুলো শেষ করতে চায় কমিশন। ইতিমধ্যে ছয় সিটি নিয়ে একটি খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে এ বছর রংপুর সিটির পর আগামী বছরের মধ্যভাগে বাকী পাঁচ সিটির নির্বাচন একসঙ্গে করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতি হিসাবে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নির্বাচনী রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এজন্য সংসদ নির্বাচনের আগে এই ছয় সিটি নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও সবার আস্থা অর্জনে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ইসিকে। যাতে করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই এসব নির্বাচন বিতর্কিত না হয়। নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার পরে এই ছয় সিটিতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলেও কুমিল্লায় জয়ী হয়েছে বিএনপি। আসন্ন ছয় সিটির পাঁচটিতে বিগত সময়ে জয়লাভ করেছিল বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। সেই হিসাবে আগামী ছয় সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে নতুন ইসির জন্য হবে বড় ধরণের অগ্নিপরীক্ষা।

২৮ ডিসেম্বরে রংপুর সিটিতে ভোটের পরিকল্পনা!
গত ১৯ জুলাই কমিশন সভায় ডিসেম্বরের শেষার্ধে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। ডিসেম্বরের সেকেন্ড উইক পর্যন্ত বিভিন্ন সমাপনী পরীক্ষা থাকে। এ জন্য শেষ সপ্তাহকে উপযুক্ত সময় ধরা হয়েছে। প্রস্তাবণায় রয়েছে ২৮ ডিসেম্বর রংপুর সিটিতে ভোট করার। নভেম্বরের ৯ তারিখের মধ্যে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা আছে। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভার পরবর্তী ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে আগামী ১৯ আগষ্ট হতে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে রংপুরে।

আগামী বছরের মে-জুনে পাঁচ সিটির ভোট
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে পাঁচ সিটির ভোট। সংসদ নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মূল হাতিয়ার হিসাবে এই পাঁচ সিটির নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেবে রাজনৈতিক দলগুলো। কেননা রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং গাজীপুর এই সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপির প্রার্থীরা। ২০১৩ সালের ১৫ জুন একদিনে এ চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছিল ওই বছরের ৬ জুলাই।

ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই মে বা জুন মাসে বাকি পাঁচটি সিটি করপোরেশনে ভোট কার্যক্রমের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসি। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পাঁচ সিটি ভোট করতে হবে আগামী বছরের মার্চ থেকে মধ্য অক্টোবরের মধ্যে। আইন অনুযায়ী, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের এসব সিটি করপোরেশন নির্বাচন করবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আর মেয়াদ হচ্ছে সিটির প্রথম সভা হতে পরবর্তী পাঁচ বছর। রাজশাহীর সিটিতে আগামী বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ৫ অক্টোবর, খুলনায় ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, বরিশাল সিটি করপোরেশন ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ অক্টোবর, সিলেটে আগামী বছরের ১৩ মার্চ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর এবং গাজীপুরে আগামী বছরের ৮ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে কমিশনের।

একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোও অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার মাধ্যমে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে চায় ইসি। আশা করছি সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে পাঁচ সিটি নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী