২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠক বুধবার
দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
বুধবার বিকাল ৩টায় সংসদ সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল নিয়ে মুলত বৈঠকে আলোচনা হবে। এই বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাষ্টপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে সংসদ সচিবালয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজনের ভোটার তালিকাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ইসি। পরে বিকালেই ওই চিঠির জবাব দিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বুধবার বিকাল ৩টায় স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষাত চেয়ে মঙ্গলবার কমিশন থেকে সংসদ সচিবালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। বিকালে সংসদ সচিবালয় থেকে চিঠির মাধ্যমে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ সদস্যদের বিভক্তি সংখ্যা, নাম এবং নির্বাচনী এলাকাসমূহ উল্লেখ করে চিঠিটি পাঠানো হয়। স্পিকার-সিইসির বৈঠকের পর তফসিল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। এখনো তফসিল ঘোষণা না করা হলেও গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে এমনটি জানানো হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করা বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। আর সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ অবসানে পূর্ববর্তী নব্বই হতে ষাট দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ আইনজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ পূরণের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বলতে প্রথম ৩০ দিনকে বোঝাবে।
সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান থাকায় সংসদের চলতি ১৯তম অধিবেশনের মধ্যেই এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অধিবেশনটি চলার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে-নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষার পরে একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকলে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তিকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন। তবে একাধিক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বৈধ থাকলে বৈধভাবে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম মনোনয়নপত্র পরীক্ষার দিন ঘোষণা করবেন। সে অনুযায়ী গত ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল আবদুল হামিদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাচাই শেষে আর কোন প্রার্থী না থাকায় তাকে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অন্যকোন দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। ক্ষমতাসীন দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তিনিই বিনা প্রতিন্দ্বদ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয় প্রকাশ্যে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গোপনে অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট সুযোগ সংসদ সদস্যদের ( এ নির্বাচনের ভোটার) নেই।
সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারো বয়স ৩৫ বছরের নীচে হলে, সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য না হলে এবং সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী আইন অনুসারে সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবক ও সমর্থক না হলে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন