১৫ বছর পর সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন ১৫ বছর পর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি এড. ওসমান গনি বলেন, মামলার ধার্য দিন মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিকভাবে অসুস্থ বাদী হুইল চেয়ারে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম তার জবানবন্দী গ্রহন করেন।
জবানবন্দীতে তিনি ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাবার পথে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার বর্ণনা দেন।
এ মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি ও যুবদলের অনেককে আসামি করা হয়। এ মামলার কয়েকজন আসামী এখনও পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কেউ জামিনে অথবা জেলে আটক রয়েছেন। আদালত মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ১৪মার্চ।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের এপিপি এড. তামিম আহমেদ সোহাগ জানান, কলারোয়ার হিজলদির এক মুক্তিযোদ্ধাপতœী ধর্ষনের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেসময় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসে তাকে দেখে তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে যশোরে ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় কলারোয়ায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অক্ষত থাকলেও তার কয়েকজন সফরসঙ্গী আহত হন। এ সময় তাদের গাড়িও ভাংচুর হয়।
এঘটনায় তৎকালীন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্ত তৎকালীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া মামলাটি রেকর্ড করেননি। ফলে বাদী সাতক্ষীরা নালিশি আদালতে মামলা করেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও পুলিশ আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
২০০৪ সালে বাদী নিম্ন আদালতে বিচার না পেয়ে আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেন। উচ্চ আদালত ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে পাঠিয়ে তা পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন।
সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তখন শুনানি শেষে কলারোয়া থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি দ্বিতীয় দফায় কার্যক্রম শুরু হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন