সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কৃষকদের ডাকে ফসলি মাঠে কলারোয়ার এক উপ-সহ.কৃষি অফিসার
অফিসিয়ালী শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন। তবু কৃষি আর কৃষকের জন্য ছুটির তোয়াক্কা না করেই ফসলি মাঠে নেমে ও রাস্তায় পথচারী কৃষকদের কৃষি বিষয়ক দিক-নির্দেশনা আর লিফলেট বিরতণ করতে দেখা গেলো সাতক্ষীরার কলারোয়ার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আলী আসগরকে।
শনিবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাদপুর, চান্দুড়িয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ফসলি মাঠ আর রাস্তার কৃষক-পথচারীদের সাথে কৃষি সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁকে কাজ করতে দেখা যায়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে নিজেকে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর কথা ছিলো চন্দনপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আসগরের। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী লোহাকুড়া গ্রামে। কিন্তু চন্দনপুর ইউনিয়নের একজন কৃষেকর ফোনের কারণে ছুটলেন বাড়ি থেকে প্রায় ১৭কিলোমিটার দূরত্বে কাঁদপুর গ্রামের দক্ষিণ মাঠে।
সেখানকার বোরা মৌসুমের অল্প কিছু ফসলি ধানের জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় উপস্থিত কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদান করেন ও ব্লাস্ট রোগের প্রতিকার-প্রতিরোধ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া, কাদপুর, গোয়ালপাড়া, চান্দুড়িয়া, সুলতানপুর, হিজলদীসহ কয়েকটি গ্রামের কিছু ফসলি মাঠে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলেন ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে।
কাদপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব, হিজলদী গ্রামের নাজমুল হোসেন, গয়ড়ার শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক জানান- ‘মাঠে কিছু জমিতে ধান বের হওয়ার শীষ ও শীষের গোড়া কালো যাওয়ায় তাঁরা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আলী আসগরের শরনাপন্ন হন। তিনি তাৎক্ষনিক তার মোটরসাইকেল নিয়ে চলে এসে আমাদেরকে হাতে-কলমে পরামর্শ দিয়েছেন।’
তারা আরো জানান- ‘উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আলী আসগর নিজে মাঠে নেমে সরেজমিনে ধানের এ রোগ দেখেছেন, আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে লেখা লিফলেট বিতরণ করেছেন মাঠে মাঠে গিয়ে আর রাস্তার চলমান কৃষক-পথচারীদেরকে।’
যাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন সেই আলী আসগর জানান- ‘চলতি বোরো মৗসুমে অতি অল্প কিছু জমিতে ধানের শীষ ও শীষের গোড়া কালো হতে দেখা যাচ্ছে, যেটাকে ব্লাস্ট রোগ বলা হয়। এ সংক্রান্ত ব্লাস্ট, লিপ ব্লাস্ট, নেক ব্লাস্ট ইত্যাদি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ হিসেবে ট্রুপার/ নাটিভো/ টাটাভো পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। কৃষকদের বিঘা প্রতি ৪০গ্রাম ঔষধ পানিতে মিশিয়ে ভালো করে স্প্রে করার পাশাপাশি কৃষি বিষয়ে সার্বিক পরাপর্শ দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো জানান- ‘কলারোয়ার ফসলে ব্লাস্ট রোগ নেই বললেই চলে। সামান্য কিছু জমিতে অল্পমাত্রায় যেটা দৃশ্যমান সেটা উল্লেখযোগ্য নয়।’
কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী জানান- ‘কলারোয়া কৃষি অফিস কৃষকদের কল্যানে নিবেদিত। কৃষি বিষয়ক যেকোন সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আমরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলার সকল উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বোরো আবাদ নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্য সপ্তাহের প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন