সাতক্ষীরার পদ্মশাঁখরায় আবাসিক এলাকায় গরু-মহিষের খাটালে জনদুর্ভোগ চরমে
সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের পদ্মশাঁখরা’র গরু-মহিষের খাটাল এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ হয়ে দাড়িয়েছে। খাটাল নিরিবিলি এলাকায় অন্যত্র স্থানান্তর না করা হলে যে কোন মুহুর্তে খাটালকে ঘিরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
পদ্মশাখরা সীমান্ত ফাঁড়ি সংলগ্ন এ খাটালটির রয়েছে দুইটি বিট।
আবাসিক এলাকায় স্কুল ও মসজিদসহ রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। চিকন রাস্তায় প্রতিনিয়ত বড় বড় ট্রাক, ট্রলি, ইঞ্জিন ভ্যান, আলম সাধু ও ভটভটি গরু মহিষ বহনের ফলে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট লেগেই থাকে। এধরনের ঘন জনবসতি এলাকায় খাটাল তৈরীর নিয়ম না থাকলেও কিভাবে খাটাল অনুমতি পেল তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।
কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চলছে এ খাটালটি।
খাটালের সন্নিকটে রয়েছে পদ্মশাখরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাক প্রি-প্রাইমারী স্কুল ও মসজিদ। ঐ সড়কে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে ভয় পায়। অনেকে স্কুলে যেতে চাইনা। অভিভাবকরা পড়েছে বিপাকে।
পদ্মশাখরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ হাসানসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন- আমরা প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভয় পায়। গরু বহনকারী গাড়ি রাস্তায় চললে আমরা স্কুলে যেতে পারিনা। কারণ প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
পদ্মশাখরা এলাকার জবেদ আলী জানান- পদ্মশাখরা গরু খাটালটি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নামে থাকলেও সেটি দেখা শোনা করে পদ্মশাখরা সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার মুনসুর সরদারের ছেলে মন্টু। খাটালের পাশে গড়ে উঠেছে দুটি বিট। খাটালের পাশে রাস্তার দু’ধারে বিট তৈরী করেছে। এ বিটে ভারতীয় গরু মহিষ রাখে ঐ এলাকার কাশেম আলীর ছেলে সাবেক সেনা সদস্য সিরাজুল ইসলাম। সেখান থেকে বিভিন্ন স্থানে গরু মহিষ পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান- প্রতিদিন ১৩০টি গরু মহিষের অনুমোদন থাকলেও সেখানে ১৫০ থেকে ২০০টির অধিক গরু মহিষ থাকে। তাদের এলাকার অসুবিধা থাকলেও কখনও মুখ খুলতে সাহস পায়না। কারণ মন্টুর বিরুদ্ধে যারা মুখ খোলে তাদের বিরুদ্ধে হামলা ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।
এব্যাপারে ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী বলেন- পদ্মশাখরায় অবস্থিত গরুর এ খাটালটি আবাসিক এলাকায় হওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে স্কুলগামী শিশুদের দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন সমস্যা, পরিবেশ দূষণসহ এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে। তাই যতদ্রুত সম্ভব অন্যত্র স্থানান্তর করা দরকার।
এ ব্যাপারে সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবী জনদুর্ভোগ ও পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করতে আবাসিক এলাকা থেকে অন্যত্র খাটালটি স্থানান্তর করা হোক। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন