সাতক্ষীরার আমতলা মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সাতক্ষীরা সদর থানার অন্তর্গত বল্লী ইউনিয়নে অবহিত আমতলা খানজাহান আলী আলিম মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধেও ৬৫০০০০ (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভাটপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তার পিতা অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মজিবুর রহমানের নিকট থেকে ৩৫০০০০ তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং মুকুন্দপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুনের নিকট থেকে ৩০০০০০ (তিন লক্ষ) টাকা নিয়েছিল। কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৮ মাস কাটিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে মামুনুর রশিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চাকরি দেওয়ার নাম করে মেহেদী হাসান আমার থেকে ৩৫০০০০ (তিন লক্ষ) টাকা নিয়েছিল। বলেছিল একটা ক্লিনিকে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি দেবে কিন্তু সেখানে চাকরি হয়নি। পরবর্তীতে কলারোয়াতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিয়েছিল কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেখানে অন্য কেউ চাকরি করছে। তারপর সাতক্ষীরাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রকল্পে চাকরির জন্য একটি কার্ড দেয় কিন্তু সেখানেও অন্য কেউ চাকরি করছে। এই বিষয়ে মেহেদী স্যারের সাথে কথা বললে তিনি বিভিন্নভাবে আমাকে থামিয়ে রেখেছিল বলতো তোমার চাকরি হয়ে যাবে। এভাবেই আমাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এতদিন নিয়ে এসেছে। এখন তার কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে চাচ্ছে না এদিকে চাকরি ও দিচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে চাকরি এবং টাকা না দিয়ে ৮ মাস কাটিয়ে দিয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী মুকুন্দপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুন জানান, আমতলা মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক মেহেদী হাসান চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার নিকট থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৩০০০০০ (তিন লক্ষ্য) টাকা নিয়েছিল। কিন্তু সে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে এই পর্যন্ত এসেছে। চাকরি এবং টাকার কথা বললে মেহেদী বলে আমি টাকা নিয়েছি টাকা দেব। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে চাকরি এবং টাকা কিছুই দিল না।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।
আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেহেদী হাসানের চাচা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুর রহমান লাল্টুর ক্ষমতা দেখিয়ে এভাবে অসংখ্য মানুষের নিকট থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন।
এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ ওবায়দুর রহমান লাল্টুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মেহেদী টাকা নিয়েছে সেটা আমি জানিনা। আর আমি কাউকে চাকরি দেওয়ার জন্য তাকে টাকাও নিতে বলিনি। তার সাথে আমার কারো চাকরি বা টাকার বিষয়ে কথা হয়নি।
ভুক্তভোগী ভাটপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ ও মুকুন্দপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুন জানান, আমরা গরিব মানুষ একটা চাকরির আশায় তার কাছে আমরা ৬৫০০০০ (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু সে যে এইভাবে টাকা আত্মসাত করবে সেটা বুঝতে পারিনি। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং এইভাবে যেন মেহেদী চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আর কোনো অসহায় মানুষের নিকট থেকে টাকা নিতে না পারে সেজন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন